সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ইরান-সৌদি আরবের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এক ফোন কলে তিনি এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান চীনের সঙ্গে আরবের কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।
দীর্ঘদিনের বিরোধের পর কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইরান ও সৌদি আরব। এ দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে সংকট বাড়িয়েছিল, গভীর করেছিল ইয়েমেন ও সিরিয়া সংঘাত। গত ১০ মার্চ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাজি হয় দেশ দুটি। এতে মধ্যস্থতা করেছে চীন।
চীনের মধ্যস্থতায় ইরান-সৌদি আরবের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে ওবামা প্রশাসনের নিয়োগ করা পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন শীর্ষ কূটনীতিক ড্যানিয়েল রাসেল মনে করেন, এই চুক্তিতে চীনের যুক্ত থাকার বিষয়টি ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে। কোনো পক্ষ না হলে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে বেইজিং যে ভূমিকা রেখেছে, তা অস্বাভাবিক।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নাইসান রাফাতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্বস্তির দিকটি হলো, ইরানের এই চুক্তি এমন এক সময়ে হলো, যখন ওয়াশিংটন ও পশ্চিমা অংশীদারেরা দেশটির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তেহরান এখন ভাবতে পারবে, তাদের একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা থেকে ইরান এখন বেরিয়ে যেতে পারবে এবং বড় শক্তিধর দেশকে তাদের পাশে পাবে।