শার্শার বেলতলা আম বাজার সরগরম
মালিক উজ জামান, যশোর : এক বছরের বিরতির পর আবারোজমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের যশোরের শার্শা উপজেলার বেলতলা আম বাজার। এবছর আমের বাম্পারফলন হওয়াতে যশোর ও সাতক্ষীরা জেলারবিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিভিন্ন জাতের আম, সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেপাইকাররা।
গত বছরউল্লেখযোগ্য তেমন কোন ঝড়ের কবলে পড়তে হয়নি আম চাষিদের,আমের দামও বেশি ছিলো।ফলে সাবলম্বী হয়েছেন আম চাষিরা। তবেএবারেচিত্রভিন্ন, এবছর আম ভাঙ্গার প্রথমদিকেকালবৈশাখীঝড়েসাতক্ষীরারকয়রা, ঝাউডাঙ্গা ও কলারোয়াএবংযশোরেরমনিরামপুর,ঝিকরগাছা ও শার্শাউপজেলারকিছুঅংশেআমেরক্ষয়ক্ষতিহয়েছে।
এবছরচলতিমে মাসের ৪ তারিখহতেযশোরেরশার্শা ও সাতক্ষীরারকলারোয়াউপজেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে আম ভাঙ্গার তারিখনির্ধারনকরাহয়েছে। ফলেআমচাষী/বাগানমালিকেরাএকযোগে আম ভাঙ্গতে শুরুকরেছেন।চাহিদারতুলনায় যোগান বেশিহওয়াতেআমেরমনপ্রতিবাজারমূল্য প্রকার ভেদে ১০০০ থেকে ২২০০ টাকাপর্যন্তহয়েছে।
বর্তমানেআমেরবাজারমূল্য হ্রাসহওয়াতেখুশিননআমচাষীরা। শার্শার টেংরাগ্রামেরআমচাষীআবুলকাসেম ও সাবিরুলবলেনবর্তমানআমেরবাজারমূল্য গতবছরের চেয়ে কম তাই লোকসানেপড়তেহবে আম চাষিদের। তবেআসছেদিন গুলোতেযখনহিমসাগর, লেংড়া ও আম্রপালিভাঙাশুরুহবেতখনেআমেরবাজারবাড়তেপারেবলেমন্তব্য করেছেনবিশেষজ্ঞরা।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরবৃহৎআমের মোকামশার্শার বেলতলাবাগুড়ীবাজারেহিমসাগর গোপাল ভোগসহবিভিন্নপ্রজাতিরআমেবাজারজমজমাটহয়ে উঠেছে। প্রতিদিনি ২০০ মে:টন আম রফতানিহচ্ছেঢাকাচিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন জেলাশহরে। একারণে ব্যস্ত সময় পার করছেনএই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়িরা। একই সাথে এবার বেশীলাভেরআশাকরছেন আম চাষীরা।
যশোরেরশার্শা ও ঝিকরগাছাএবংসাতক্ষিরাকলারোয়াসহতিনটিউপজেলারসংযোগস্থল বাগুড়ী বেলতলাবাজার। এ বাজারেপ্রতিদিনওইসবউপজেলা থেকে আসছে মোহনভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগসহনানাপ্রজাতির আম। বছরকয়েকধরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরবৃহৎআমের মোকামেপরিনতহয়েছেএই বাজারটি। চাষীরা বেশীলাভেরআশায়আগাম আম এনেবাজারেবিক্রি করছেন। ঢাকাচিটাগাংসহবিভিন্নএলাকা থেকে আসছেন আম ব্যবসায়িরা। বেলতলারঅর্ধশতআমেরআড়ৎ থেকে আম কিরছেনতারা। ১৮০০ থেকে ৩৬০০ টাকামন দরেএসব আম কিনছেনতারা।
ঢাকা ও কুষ্টিয়া থেকে আসা আম ব্যবসায়িফরিদ গাজি ও আরমান মোল্লাবলেন, এই হাটেআমেরমজুদ বেশী থাকে। যেকারণে দামও কম। প্রতিদিন ৩০০ক্যারেট আম কিনছেন। এসব আম ঢাকাচিটাগাংয়ে বেশী দামেবিক্রি করেলাভবান হচ্ছেন।
আড়ৎব্যবসায়িবাবলু হোসেন ও আকবারআলীবলেন, প্রচুর আম আমদানিহচ্ছে। জমজমাট বেচাকেনাওহচ্ছে। বাগুড়ীর আম দেশের বিভিন্নশহরে ও দেশে বাইরেওরপ্তানীহচ্ছে। আমেরমানভালহওয়ায়চাহিদাওভাল।
জামতলাগ্রামেরআমচাষিকালামুল্লাবলেন, তিনি ৪ বিঘাজমিতে আম চাষকরেছেন। খরচহয়েছে ৭৫ হাজারটাকা। ৩ লাখটাকার আম বিক্রিরআশাকরছেনতিনি। এবারআমেরফলনভালহয়েছেবলেজানানচাষী মোসলেমআলী ও আব্বাসআলী।
বাজারকমিটিরসভাপতি ও কাউন্সিলরনাসিরউদ্দিনবলেন, প্রতিদিন ২০০ মে:টনআমদানি বেচাকেনাহচ্ছে। আমের গুণহতমানঠিকরাখতেতিনিকমিটিরসদস্যদেরনিয়েতদারকিকরছেন। এবারআমেফরমালিন রোধেগণসচেতনতাসহপ্রচারপ্রচারণাচালানোওহয়েছেবলে দাবিকরেন।
বাগআঁচড়াপুলিশক্যাম্পইনচার্জ সুকদেব বলেন, আমবাগাননজরদারীতে রেখেছেপ্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলারক্ষানিয়েওসজাগরয়েছেপুলিশ।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা সৌতমকুমারশীলবলেন, উপজেলায়চলতি মৌসুমেটার্গেট অতিরিক্ত আম চাষহয়েছে। ফলন ও দাম ভালপাওয়ায়খুশিচাষী। আমেরভালহারবেষ্টেরজন্যে চাষীদেরপরামর্শ প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন কৃষিঅধিদপ্তর। আমেরবাজারগুলোনিয়মিতমনিটরিংকরাহচ্ছে।