চট্টগ্রামে ব্যস্ততম সড়কে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
আন্দোলনে তরুণদেরও শামিল করতে বুধবার (১৪ জুন) চট্টগ্রামে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে বিএনপি। বেলা ৩টায় নগরের আউটার স্টেডিয়ামে বিএনপির অফিস সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। পুলিশের অনুমতি নিয়ে সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজও শুরু করেছিল তারা। তবে গতকাল সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একটি টিম এসে সেখানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে পুলিশের অনুমতি নিয়ে নগরের ব্যস্ততম এলাকা কাজীর দেউড়ি মোড়ের সড়কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সমাবেশ।
জানা যায়, আউটার স্টেডিয়াম চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার আওতাধীন। যে কারণে পদাধিকার বলে এটার সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। তবে বিএনপিকে প্রথমে সেখানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। যে কারণে সমাবেশের আগের রাতেই জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট এসে সেখানে বাধা দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাবেশের কথা ছিলো আউটার স্টেডিয়ামে। সেভাবে আমরা সব প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মাঠে মঞ্চ, প্যান্ডেল তৈরির কাজও শুরু হয়েছিল।
হঠাৎ করে গতকাল সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট এসে কাজ বন্ধ করে দিতে বলেছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়ে সমাবেশ করতে হচ্ছে।
এদিকে দুপুর ১২ টায় কাজীর দেউড়ি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক আটকিয়ে ট্রাকের উপর করা হয়েছে মঞ্চ। বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে দলে দলে আসা শুরু করেছে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। এখনও পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই আয়োজন করেছে। আয়োজকরা জানান, সর্বশেষ তিন জাতীয় নির্বাচনে ভোটার হওয়ার পরও অনেক তরুণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় তারা ওই তিনটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। তাদের অনেকেই এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। তরুণদের মনে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ রয়েছে। তারা তা প্রকাশের পথ খুঁজছে। তরুণদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। চট্টগ্রামের পর পর্যায়ক্রমে ১৭ই জুন বগুড়ায়, ৭ই জুলাই খুলনায়, ১৫ই জুলাই বরিশালে, ২২শে জুলাই সিলেটে এবং সর্বশেষ ২৯শে জুলাই ঢাকায় এই তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।