সিসিক নির্বাচন : মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে ঘিরে মিছিল-মিটিং আর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে আজ সোমবার মধ্যরাত ১২টার পর প্রার্থীরা আর কোনো সভা-সমাবেশ, নির্বাচনী গণসংযোগ, শোভাযাত্রা, মিছিল করতে পারবেন না।
নির্বাচন উপলক্ষে বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জেলা প্রশাসনের ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করলেও ১৯ জুন রাত ১২টার পর থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ৫২টি টিম মাঠে কাজ করবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে মাঠে থাকবে বিজিবি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হবে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা। ১৯ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ৪২টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে, নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করবে। এছাড়া এর বাহিরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টি টিম কাজ করবে। যাদের মধ্যে ওয়ার্ড ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি টিমের সঙ্গে ১ প্লাটুন বিজিবি থাকেবে। ১৯ তারিখের পরের ৩ দিনের তারা মাঠে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৮ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আর কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন।
২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পঞ্চম বারের মত হচ্ছে সিসিক নির্বাচন। সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৯০টি যেখানে স্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ৯৫টি।