সাইবার হামলা ঘটতে পারে- এমন আশঙ্কায় সার্ভার বন্ধ করে রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটও। এতে বিপাকে পড়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাপ্রত্যাশী ও ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় ইসির সার্ভারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে মঙ্গলবার সার্ভার ও তথ্যভান্ডারে ইসির সাধারণ কর্মকর্তারা ঢুকতে পারেননি। শুধু কারিগরি কমিটির সদস্যরা মনিটরিং করতে যেসব এক্সেস দরকার তা করতে পেরেছেন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, “বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সার্ভার। এনআইডি সার্ভার বন্ধ থাকায় অনেক ব্যাংক ও সেবা প্রতিষ্ঠানেও বন্ধ রয়েছে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান।”
এদিকে, ভারতীয় হ্যাকারদের সাইবার আক্রমণে দেশে ২৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, আইসিবি এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস, ডিজিএইচএস। সে হামলা থেকে বাঁচতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সার্ভার।
সাইবার হামলায় প্রায় ১০ হাজার বিনিয়োগকারী এবং বিনিয়োগ আবেদনকারীদের তথ্য থাকায় ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, আইসিবি’র ওয়েবসাইট হ্যাকিং উল্লেখযোগ্যভাবে বড়। এতে সরকারি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের নাম, ঠিকানা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর ডিজিএইচএস এর ফাঁস হওয়া তথ্যে সরকারি হাসপাতাল থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতীয় হ্যাকারদের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪০ হাজার রেকর্ডের ডেটা দখল করেছে তারা। হ্যাকাররা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি কর পোর্টাল থেকেও কিছু তথ্য ফাঁস করে।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল একটি হ্যাকারগোষ্ঠী। সরকার থেকে জানানো হয়েছিল সাইবার হামলা রোধে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নিজেদেরকে ভারতের হ্যাকারগোষ্ঠী দাবি করে হুমকিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানেও সাইবার হামলার ঘোষণা দেয় তারা।