জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খতমে কোরআন, দোয়া ও শোকসভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর উদ্যোগে দিনব্যাপী খতমে কোরআন, দোয়া ও শোকসভা বেলা ১২:০০ ঘটিকায় বন্দর ভবনস্থ জাম তলায় সংগঠনের সভাপতি আজিম এর সভাপতিত্তে ও সাধারন সম্পাদক মোঃ নায়েবুল ইসলাম ফটিক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ১১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাননীয় চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও চবক এর বোর্ড সদস্যবৃন্দ। উক্ত শোক সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শাহাদাৎ বরণকারী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু জন্য আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি এবং বাঙ্গালী জাতি পেয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ। ৭৫ এর খুনিরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূণ্য করে দিতে কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বেচে থাকায় তা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার কন্যা। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা ৭৫এর খুনিদের দোসররা জামাত ও বিএনপি এক জোট হয়ে আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করতে পায়তারা করছে। তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এই অপরাজনীতি ও অপশক্তিকে রুখে দেয়ার আহবান জানান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু হলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদদের স্মরণ করে জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে চলার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত করতে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম বন্দর এর সকল কর্মচারীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ দর্শনকে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
উক্ত শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় প্রধানগন, কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর সহ সভাপতি মোঃ নাদের উদ্দিন পাটোয়ারী, মহিউদ্দিন দস্তগীর, আক্তারুজ্জামান মাসুম, ফিরোজ আহম্মেদ জাবেদ, মোস্তফা ফরিদুর রেজা, রেজাউল করিম রাজু, আশীষ কান্তি মহুরী সহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রতিনিধিগণ।