বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শব্দ সৈনিকড. অরূপরতন চৌধুরী’রজন্মদিন
একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দ সৈনিক,সমাজসেবক,চিকিৎসক ও সঙ্গীতশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী’রজন্মদিন আজ (১৯ সেপ্টেম্বর)। ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে-পিতা শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী ও মাতাড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী’র ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন ড. অরূপরতন।তারাদুইভাই ও এক বোন।পরিবারেস্ত্রী গৌরী চৌধুরীএকজনসুগৃহিনীএবং দুইপুত্র অনির্বাণ চৌধুরী ও সপ্তক চৌধুরী স্ব স্ব ক্ষেত্রেপ্রতিষ্ঠিত। ড. চৌধুরী বর্তমানে বারডেম হাসপাতালে ডেন্টালসার্জারী বিভাগে সম্মানিক সিনিয়রকনসালটেন্ট এবং ইব্রাহীম মেডিকেলকলেজে অধ্যাপকহিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠ যোদ্ধা হিসেবে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন ড. অরূপরতন চৌধুরী। পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও মনে প্রাণে ধারন করেন সমাজসেবা।তরুণপ্রজন্মকে মাদক ও তামাকেরভয়াবহতা থেকে রক্ষায়৪০ বছরেরঅধিকসময়ধরেধূমপান ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজকরেচলেছেন। ১৯৮৯ সালে‘মানস’নামে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বর্তমানেপ্রতিষ্ঠাতাসভাপতির দায়িত্ব পালনকরছেন।ইতোমধ্যে বিভিন্নবিষয়ে ৩২টি বইলিখেছেন, বহুগবেষণা করেছেন যা ৩৮টির বেশি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন করেছেন।একজনপ্রতিষ্ঠিতরবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীহিসেবে নিয়মিত সঙ্গীত চর্চ্চাকরেন। দেশে প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে নির্মাণ করেছেন মাদক, ধূমপানবিরোধী চলচ্চিত্র ‘স্বর্গ থেকে নরক’।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে গ্রহণকরেন রাষ্ট্রের দ্বিতী য়সর্বোচ্চ সম্মাননা‘একুশেপদক’। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা’র‘টোব্যাকো অর হেলথ’লাভকরেন সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগতভাবে।এছাড়াওভারতে‘মাদার তেরেসাপদক’সহবহু সম্মাননা লাভ করেছেন।কায়মনোবাক্যে তিনিএকটিসম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ এবংমুক্তিযদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ আগামী প্রজন্ম রেখে যেতে চান।