আইপিএল নিলামে নামই ওঠেনি, সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যা বললেন সেই পতিদার
ফ্যাফ ডু’ প্লেসি প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন। সেই সময়েই বিরাট কোহলির পাশে দাঁড়াতে মাঠে আসেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তরুণ তারকা রজত পতিদার।
তরুণ এই ক্রিকেটারের নামই ওঠেনি আইপিএল মেগা নিলামে। পরে তাকে দলে নেয় আরসিবি।
বুধবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে কোহলি যখন সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিলেন, তখন থেকেই বিরাট ও ব্যাঙ্গালোর দু’পক্ষকেই ভরসা দিচ্ছিলেন রজত পতিদার। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এলিমিনেটরে দুইশ’ রানের গণ্ডি টপকে যায়, তবে এর কৃতিত্ব রজত পতিদারের দুর্দান্ত শতরানের।
রজত পতিদার শেষ পর্যন্ত ১২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৫৪ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্যাঙ্গালোর এদিন স্কোর বোর্ডে ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৭ রান তোলে।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন রজত পতিদার। ম্যাচ জিতিয়ে রজত বলেন, “আমি বলের টাইমিং করেছি এবং বলে পাওয়ার দেওয়ার বদলে এটা করাটাই আমার প্রধান ফোকাস ছিল। পাওয়ার প্ল ‘র শেষ ওভারে যখন আমি ক্রুনাল পান্ডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলাম, তখন যেভাবে আমি আমার পরিকল্পনাগুলোকে কার্যকর করতে পেরেছিলাম, তখনই আমার মনে হয়েছিল যে আজ আমি বড় স্কোর করতে পারব। আমার ফোকাস ছিল সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে এবং স্ট্রেট ব্যাটে খেলার চেষ্টা করি এবং এটার জন্য সময় ছিল।”
ব্যাট হাতে রজত পতিদার ক্রিজে আসার পর থেকেই চার-ছক্কার ঝড় দেখে ইডেন। মাত্র ৪৯ বলে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রজত পতিদার। তার এদিনের আক্রমণাত্মক মেজাজে রেহাই পাননি লখনউ-এর কোনও বোলার।
নিজের এই ইনিংস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পতিদার জানান, “ডট বলের মুখোমুখি হওয়ার পরেও আমি চাপে আসি না, কারণ আমি জানি আমার সক্ষমতা আছে।”
এরপরে যখন তার নিলামে নাম ওঠার প্রসঙ্গ আসে তখন তার জবাব জিতে নেয় সকলের মন। পতিদার বলেন, “আমাকে নিলামে তোলা হয়নি, তবে সেই সময়টা আমি অনুশীলনে জড়িত ছিলাম এবং এটাই আমাকে সাহায্য করেছে।”