নয়াদিল্লি, ২৭ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপে বলেছেন, তিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি সফরের পর ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের দ্রুত অবসান সমর্থন করেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে এক ফোনালাপের একদিন পর পুতিনের সাথে তার এই আলাপ হয়েছে। আলাপে মোদি নয়া দিল্লির সংলাপ ও কূটনীতির পক্ষে ধারাবাহিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
৭৩ বছর বয়সী মোদি, রাশিয়ার সাথে ভারতের ঐতিহাসিক উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখেছেন এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের প্রতি আস্থা রেখেছেন। খবর এএফপি’র।
নয়াদিল্লি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সুস্পষ্ট নিন্দা জানানোকে এড়িয়ে উভয় পক্ষকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিরোধ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, তিনি পুতিনের সাথে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন এবং ‘সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর থেকে তাঁর অন্তভঙ্গি শেয়ার করেছেন। সংঘাতের দ্রুত, স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে সমর্থন করার লক্ষ্যে ভারতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মোদি সম্প্রতি মস্কোতে পুতিনকে আলিঙ্গন করায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেনীয়দের পরিদর্শন করতে শুক্রবার কিয়েভ যান এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বলেন, ‘যুদ্ধ করে কোন সমস্যার সমাধান হবে না।’
শীতল যুদ্ধের পর থেকে ভারত ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যার ফলে ক্রেমলিন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে অত্যন্ত কম দামে প্রধান সরবরাহকারী হয়ে অপরিশোধিত তেল প্রদানের মাধ্যমে ভারত রাশিয়ার প্রয়োজনীয় রপ্তানি বাজার উঠেছে। এতে করে নাটকীয়ভাবে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হয়েছে, ভারত মস্কোর যুদ্ধের কোষাগারকে শক্তিশালী করার সাথে সাথে বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে।
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোয়াড গ্রুপের সদস্য।