বিশেষ খবরশিক্ষা

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টন

 

ঢাকা. ৮ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্স জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে যৌথভাবে ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের মহাসচিব অধ্যাপক হ্যান্স এলেগ্রেন আজ ৮ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা এ ঘোষণা দেন।
একাডেমি জানিয়েছে, ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলোর বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্স জানায়, ‘হপফিল্ড এমন একটি কাঠামো তৈরি করেছেন যা তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে পারে। আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা স্বাধীনভাবে ডেটার বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করতে সক্ষম এবং যা বর্তমানে ব্যবহৃত বৃহৎ নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
জন জে. হপফিল্ড ১৫ জুলাই ১৯৩৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নিউজার্সি রাজ্যের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি কর্মরত আছেন।
জিওফ্রে ই হিন্টন ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
মঙ্গলবার সুইডেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজ নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা হড়নবষঢ়ৎরুব.ড়ৎম ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
যৌথভাবে ২০২৪ সালের চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকান।
১৯০১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান জার্মানির নাগরিক ভিলহেল্ম কনরাড রন্টগেন। ‘এক্স রশ্মি তথা রঞ্জন রশ্মি আবিষ্কার এবং এবং এ ধরনের রশ্মির যথোপযুক্ত ব্যবহারিক প্রয়োগে সফলতা অর্জনের’ জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।
২০২৩ সালে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা। গবেষণার মাধ্যমে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন তাঁরা। অতি অল্প সময়ের এই স্পন্দনের মাধ্যমে ইলেকট্রনের দ্রুত গতিবিধির ছবি তোলা সম্ভব। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ‘তিন নোবেলজয়ী তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অণু-পরমাণুর অন্দরে ইলেকট্রনের জগৎ অন্বেষণের জন্য নতুন হাতিয়ার দিয়েছেন।’
এর পরের দিনক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
০৯ অক্টোবর: এদিন ঘোষণা করা রসায়ন ক্যাটাগরির পুরস্কার। স্থানীয় সময় বিকেল ১১টা। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা।
১০ অক্টোবর : এদিন ঘোষণা করা সাহিত্য ক্যাটাগরির পুরস্কার। স্থানীয় সময় বিকেল ১টা। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা।
১১ অক্টোবর : নোবেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানা যাবে। বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে নরওয়ের নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা।
১৪ অক্টোবর : ছয় নম্বর এবং সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে এদিন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট।
নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতিবছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button