শীর্ষ নিউজ

সুনামগঞ্জের নবীনগরে এতিম কিশোরী ধর্ষনকারী রহমত উল্লাকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ


আল হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ পৌরসভার নবীনগর আবাসিক এলাকায় এতিম কিশোরীকে ধর্ষন করেছে এক পাষন্ড। এ ব্যাপারে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত নবীনগর গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র ধর্ষক রহমত উল্লা (২৫) কে গ্রেফতার করেনি। বরং ধর্ষককে সহযোগীতা করে যাচ্ছে তারই পিতা নবীনগর গ্রামের মৃত লালু মিয়ার পুত্র আব্দুল কাইয়্যুম (৫৫),আব্দুল কাইয়ূমের অপর পুত্র খলিল মিয়া (২৮),মৃত আব্দুর রাজ্জাক সাজুর পুত্র মফিজ আলী (৫৫),কুরবাননগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মাইজবাড়ী ডাককুয়াখালী পোয়াইলের পাড় নিবাসী জমিরুল হকের পুত্র মুক্তার আলী (৪৫) প্রমুখ। অভিযোগে প্রকাশ,রহমত উল্লা ঘটনার প্রায় ৫/৬ মাস পূর্ব থেকে এতিম কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব ও বিবাহের প্রলোভন দিয়ে সরলমনে বিশ্বাস জন্মিয়ে গত ০৯/০৩/২০২৪ইং শনিবার দিবাগত রাত ৯ টায় ও পরবর্তীতে ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও সময়ে কিশোরীর বসতবাড়ী সংলগ্ন পতিত ভিটারকম ভূমিতে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এতে ঐ কিশোরী অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে ধর্ষক রহমত আলী চিকিৎসার নামে তাকে ঔষধ খাইয়ে তার গর্ভ নষ্ট করে। ঘটনার পর ভিকটিম কিশোরী সুস্থ হওয়ার পর তার খালার বাড়ী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মথুরকান্দি গ্রামে গেলে ধর্ষক রহমত আলী সেখানে মিষ্টি নিয়ে যায় এবং কিশোরীর সাথে দেখা করে চলে আসে। পরে ভিকটিম কিশোরী মথুরকান্দি হতে তার নানার বাড়ী সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নারায়ণতলা গ্রামে গেলে সেখানে গিয়ে রহমত আলী তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ীতে চলে আসতে বলে। ভিকটিম, ধর্ষক রহমত আলীর কথামতো তার বাড়ীতে আসলে ২য় ঘটনার তারিখ ১১/১২/২০২৪ইং রোজ বুধবার রাত অনুমান ৯ টায় ভিকটিমের বসতবাড়ীর পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দিকের পতিত ভিটায় নিয়ে ধর্ষন করা অবস্থায় এলাকার লোকজন ও ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনেরা ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এসময় ধর্ষক শুক্রবারে নিকাহনামা রেজিষ্টারী করার কথা বলে ভিকটিমকে তাহার সঙ্গে করে তাহার পিতার বসতবাড়ীতে চলে যায়। অত:পর ৩য় ঘটনার ১৩/১২/২০২৪ইং শুক্রবার সকাল ৮টায় ধর্ষক রহমত আলীর পিতা আব্দুল কাইয়্যূমের বসতভিটায় গিয়ে নিকাহনামা রেজিষ্টারী করার কথা বললে, ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে একে অপরকে সংবাদ দিয়ে বেআইনী জনতায় মিলিত হয়ে ধর্ষক ও তার আত্মীয় স্বজনরা ভিকটিম কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী কিলঘুষি লাথি মেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুৃনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম বলেন,আমি ভিকটিমের অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এসআই আল আমিনকে দায়িত্ব প্রদান করেছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button