চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

সম্প্রীতি রক্ষায় মনের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন 

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “এ দেশ আমাদের, এখানে থাকতে হবে, মরতে হবে। কাজেই আমাদের সবাইকে দেশকে ভালোবাসতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।”
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সদরঘাটে পিটিআই ভবনে সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি আরও বলেন, “যেভাবে মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে দেশকে ভালোবেসেছিলেন, আমাদেরও সেই চেতনা নিয়ে কাজ করতে হবে। ক্লিন সিটি বলতে শুধু নালা-নর্দমা পরিষ্কার বোঝায় না, এর অর্থ মনের ময়লাও পরিষ্কার করা।”
সমাবেশে বক্তারা একমত হন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তারা জানান, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশের ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমদ বলেন, “বাংলাদেশ কোনো একক ধর্মের দেশ নয়, এটি সবার।” তিনি জনগণকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয় খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, এই বাংলাদেশ ২০ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশকে যারা ধারণ করে, তারা সম্প্রদায়িক হতে পারে না। সম্প্রীতি আছে বলেই একসঙ্গে হয়েছিলাম ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আমরা যখন ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, দল ছিল না। আমরা সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে কোনো বিরোধ থাকবে না।
জামায়াতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এ দেশের মতো সম্প্রীতির দেশ বিশ্বের আর কোথাও নেই। ভারতকে বলছি, আপনারা চেয়ে়ছিলেন সম্প্রীতি নষ্ট করে ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসন করবেন। আমাদের দেশ নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। আমাদের দেশের সম্প্রীতি আমরা বজায় রাখতে পারবো। আপনারা যার যার ধর্ম সে সে পালন করেন। প্রয়োজনে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দীন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দীন মুনিরী, সহকারী মহাসচিব জাফর আহমেদ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম,  জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, পাচুরিয়া তপোধন আশ্রমের অধ্যক্ষ সুরেশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, জেসমিন সুলতানা পারু, মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button