বিশেষ খবর

বিমসটেক সমুদ্র পরিবহন সহযোগিতা চুক্তি বন্দর সক্ষমতা জোরদার করবে

 

৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): সমুদ্র পরিবহন সহযোগিতা (এএমটিসি) সংক্রান্ত বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) চুক্তি এই অঞ্চলে পণ্যের সহজ চলাচল ও পরিষেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, সমুদ্র নীতিমালার সমন্বয় সাধন করবে এবং শুল্ক পদ্ধতি সহজতর করবে।

ঢাকায় আজ বিমসটেক দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এএমটিসি কার্যকর হওয়ায় বিমসটেক এখন নিরবচ্ছিন্ন সমুদ্র পরিবহণের জন্য একটি বিস্তৃত কাঠামো তৈরি করেছে, যার লক্ষ্য লজিস্টিক বাধা হ্রাস করা এবং অর্থনৈতিক সংহতি আরও গভীর করা।’

বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা এই অঞ্চলে সামুদ্রিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ।

এই চুক্তির লক্ষ্য বাণিজ্য সুবিধার বাইরেও, বন্দর, শিপিং লাইন এবং উপকূলীয় লজিস্টিক হাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করবে।

চুক্তিটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা, টেকসই পরিবেশ, শিপিং প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা উৎসাহিত করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিমসটেক নেতারা এএমটিসি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আঞ্চলিক সামুদ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সহজতর করা এবং বন্দর অবকাঠামো, অন্যান্য সুবিধা ও সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

নেতারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সাতটি দেশ- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে বিমসটেক গঠিত।

এ সাতটি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংযোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ও উন্নয়নই সংস্থার মূল লক্ষ্য।

এই সহযোগিতার আটটি সাব-সেক্টরের মধ্যে রয়েছে সুনীল অর্থনীতি, পার্বত্য অর্থনীতি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও পশুপালন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button