শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬ কোটি টাকা সমমূল্যের সৌদি রিয়াল জব্দ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬ কোটি টাকা সমমূল্যের সৌদি রিয়াল ( ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০রিয়াল) জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা কাস্টম হাউসের যৌথ টিম।
গতকাল বুধবার (২৯ জুন) রাতে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ওই সৌদি রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে। লাগেজের মালিক মামুন খান ইমিগ্রেশন শেষ না করেই বিমানবন্দর থেকে পালিয়েছেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী জানান, ‘বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চেকিং হচ্ছিল। সে সময় ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার’স হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমের স্ক্যানিং মেশিনে লাগেজটি স্ক্যান করা হলে মুদ্রা সদৃশ বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। লাগেজটির মালিককে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা ও এভিয়েশন সিকিউরিটির উপস্থিতিতে লাগেজটি কাস্টমস হলে এনে খোলা হয়। লাগেজে থাকা ৩৪ টি শার্টের ভেতরের কাগজের বোর্ডের মধ্য কাগুজে মুদ্রাগুলো বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীকে খুঁজে না পাওয়ায় লাগেজের সাথে থাকা ট্যাগ থেকে এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।’
বুধবার (২৯ জুন) রাতে যাত্রী মামুন খান এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (EK 585) ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য চেক ইন করেন। এ ঘটনায় লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন কমপ্লিট না করেই এয়ারপোর্ট ছাড়েন মামুন। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে উপ পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের সাথে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমস গুদামে জমা প্রদান করা হবে। এছাড়াও কাস্টমস অ্যাক্ট ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান কাস্টমস গোয়েন্দার এই কর্মকর্তা।’