বেনাপোল-কালনা সেতু-ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের সড়ক
মালিক উজ জামান, যশোর : অবশেষে বেনাপোল থেকে কালনা হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের সড়কের ঘোষনা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন বলেছেন, দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটি টিম পরিদর্শনে এসেছে।
সড়কটি শার্শা-ঝিকরগাছা হয়ে যশোরের মুড়লি মোড় থেকে বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা হয়ে নড়াইলের কালনা সেতু দিয়ে ভাঙ্গায় মিলিত হবে। এ ছাড়া মাগুরার আড়পাড়া থেকে বাঘারপাড়া পর্যন্ত সড়কটি এলজিইডির কাছ থেকে নিয়ে সড়ক বিভাগের মাধ্যমে আঞ্চলিক মহাসড়কে নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৬ জুলাই) যশোরের বাঘারপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাতা সায়েরা খাতুন স্মৃতি পাঠাগার তৈরি ও খেজুরগাছ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে উপজেলার দোহাকুলা পূর্বপাড়ায় হেরিটেজ স্টাডি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশর আয়োজনে পাঠাগার তৈরি ও খেজুরগাছ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, যশোরের ঐতিহ্য খেজুরের গুড়। সেই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খেজুরগাছের রস-গুড়ের ব্যবসা লাভজনক। শুধু তা-ই নয়, খেজুরগাছ সড়কের পাড় রক্ষায় কাজ করে। বাঘারপাড়ার বুক চিরে বয়ে চলা চিত্রা নদীর পাড় রক্ষায় দুই পাড়ে ১০ লাখ গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ বিশ্বাস। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও হেরিটেজ স্টাডি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি সাঈদ রেজা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম দস্তগীর, হারুন অর্গানিক অ্যাগ্রো ফার্মের পরিচালক (পরিকল্পনা ও ব্যবসায় উন্নয়ন) সোহরাব হোসেন, ডাইরেক্টর কাজী তুহিন আহম্মেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক তুহিন হোসাইন। শেষে বঙ্গবন্ধুর মাতা সায়েরা খাতুন স্মৃতি পাঠাগারে অর্ধশত বই তুলে দেন অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন। পরে স্থানীয় একটি সড়কের পাশ দিয়ে কয়েকটি খেজুরের চারা রোপণ করেন তিনি।