পাঁচ মাসে ৩৯,৭০০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে রাশিয়া। এরই মধ্যে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে এই যুদ্ধের।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বরাত দিয়ে সেদেশের গণমাধ্যমগুলো চলমান যুদ্ধে রুশ সেনাদের এ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেছে ।
এতে কিয়েভ দাবি করেছে, গত পাঁচ মাসের যুদ্ধে ৩৯ হাজার ৭০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত ডোনবাস অঞ্চলকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হামলা থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার এ পদক্ষেপের প্রতিবাদে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং কিয়েভের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা করে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করা সত্ত্বেও চলমান যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত রুশ সেনাবাহিনীর এক হাজার ৭৩০টি ট্যাংক, তিন হাজার ৯৫০টি সাঁজোয়া যান, দুই হাজার ৮৩২টি জ্বালানী ট্যাংকার, ৮৭৬টি কামান, ২৫৬টি রকেট লাঞ্চার, ১১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা, ১৮৮টি হেলিকপ্টার, ৭১৯টি ড্রোন এবং ১৫টি গানবোট ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আরো দাবি করেছে, গত পাঁচ মাসে দেশটিতে ৩৯ হাজার ৭০০ রুশ সেনা নিহত এবং ২২২টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।
এর বিপরীতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কভ চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে মস্কোর পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সামরিক অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৬০টি যুদ্ধবিমান, ১৪৪টি হেলিকপ্টার, এক হাজার ৬০৫টি ড্রোন, ৩৫৭টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, চার হাজার ১৫৬টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, তিন হাজার ১৯৬টি কামান এবং চার হাজার ৩৫৭টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। সূত্র: ইউক্রেইনস্কা পাভদা, এমএসএন