বিধবা অসহায় নারীর উপর থানা পুলিশের অবজ্ঞা বাঘারপাড়ায় দ্বারে দ্বারে বিচারের জন্য ধর্না
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা বাজারে অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ বোন কে বঞ্চিত করার পায়তারা করছেন আপন দুই ভাই। বিজ্ঞ আদালতের মামলা, পুলিশী নোটিশ সর্ত্তেও তারা জবর দখল থেকে সরছে না বলে ভূক্তভোগী বোন অভিযোগ করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মেনে জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধের জন্য ভূক্তভোগী রেহেনা বেগম যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে ২৪ আগষ্ট অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার ১২৩ নং বুধোপুর মৌজায় আর এস খতিয়ান ৩৮ আর এস দাগ ৫০৪ এ ২৫ শতকের মধ্যে মৃত শফি উদ্দিনের কন্যা রেহেনা বেগম (৫৫) তিন শতক জমির ওয়ারেশ। দুই ভাই ও তিন বোন বাজারসহ আরো জমিতে ওয়ারেশ। ছাতিয়ান তলা বাজারে যশোর নড়াইল রোডের পূর্বপাশে জমিটির অবস্থান। এই জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। স্বামী মজিদ মোল্যা প্রায় ২০ বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকেই আপন দুই ভাই শামছুর রহমান ও মুনছুর রহমান এই বোনকে বঞ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তারা নালিীশ জমিতে নির্মান কাজ করতে ইট বালি সিমেন্ট ও রড মজুদ করেছে। জবর দখলে তারা সেখানে দোকান ঘর নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। নির্মান কাজ বন্ধে ভূক্তভোগী নারী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন যাহার আসামী ঐ দুই ভাই। মামলা নম্বর ৯৩৫/২২। নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এস আই সোহেল বিজ্ঞ আদালত কতৃক জারিকৃত ১৪৪ ধারা বলবতের নোটিশটি বাদী বিবাদী উভয়ের কাছে পৌছে দেন। কিন্ত বাঘারপাড়া থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আসামিদের পক্ষ গ্রহন করেছে। অভিযোগ উঠেছে বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন রেহেনা বেগমকে চলতি সপ্তাহে থানার একটি ঘরে আটকে রেখে জোর পূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। এসময়ে ওসি রেহেনা বেগমকে গালিগালাজ করেন বলে ভূক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী নারী যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।
রেহেনা বেগম জানান, এর আগেও অভিযুক্তরা পারকুল, হুদোপুর আল্লাইপুর ও দরাজহাট মৌজায় আরো ৩২ শতক মূল্যবান জমি ফাঁকি দিয়ে জবর দখল করেছে। চার শতক জমির স্থলে তারা ঐ জমিটি অপকৌশলে নিয়ে ভোগ করছে। এরপরেও তিনি চুপ করে ছিলেন। কিন্ত এবার বিধবার শেষ ভরসাও তারা জবর দখলে নিয়ে অত্যাচারের শেষ অপকর্মটিও সম্পন্ন করেছেন। এমনকি মা ছুটু বিবি’র ভাগের জমিও তারা জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। বৃদ্ধা মা হাউ মাউ করে কান্না কাটি করলেও তাদের মন গলেনি। তিনি জনগনের বন্ধু পুলিশের প্রতিনিধি বাঘারপাড়া থানার ওসির কর্মকান্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, এই ব্যবহার একজন নারী হিসাবে আমার কাম্য নয়। রেহেনা বেগম নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা ও ১৪৫ ধারা বলবৎ করে দোকন নির্মান কাজ বন্ধে পুলিশের বন্ধু সুলভ আচরন আশা করেন এবং তিনি চাইছেন পুলিশ নির্মান কাজ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন।