রোহিতার ট্রাকচালক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রী শিশুপুত্র আটকে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ
মালিক উজ জামান, যশোর : অন্যের স্ত্রী ও শিশু অপরহরন করে আটকে এক ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপন চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ট্রাক চালকের নাম জাহাঙ্গীর। সে রোহিতা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ও ট্রাকচালক। এক হত দরিদ্র রাজমিস্ত্রীর স্ত্রী ও শিশুকে এক সপ্তাহ আগে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে এলাকার বাইরে আটকে মোবাইল ফোনে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। ভূক্তভোগী যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ইত্যে গ্রামের রাজমিস্ত্রী শ্রমিক রাশেদ (২৪) এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। রাশেদ হজল হকের পুত্র।
জানা গেছে, আটদিন আগে ২৭ আগষ্ট শনিবার সুমী ও তার ২ বছর বয়সীপুত্র ইয়ামিন কে পাওয়া যাচ্ছে না। সেদিন সকাল নয়টার পর থেকে তারা নিখোজ। এরপর খোজ খবর নিতেই জানা যায়, জনৈক ট্রাকচালক রোহিতার জাহাঙ্গীর তাদের জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। মনিরামপুর উপজেলার ১নং রোহিতা ইউনিয়নের রাজবাড়ি গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর (৩০)। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার পর ০১৯৭৬-১১৫৬৮৭ ও ০১৯৭৫-১১৫৬৮৭ নাম্বার থেকে রাশেদের মোবাইল ফোনে কয়েকটি ফোনকল আসে। তাকে বলা হয় শিশু পুত্র ও স্ত্রীকে পেতে হলে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এর পর আবারো ফোন করে বলা হয় এক লক্ষ টাকা নিয়ে দিয়ে ইয়ামিন কে রাজধানী ঢাকায় এসে নিয়ে যাও। টাকা না নিয়ে এলে তাকে মেরে ফেলা হবে। একথা বলে রাশেদের স্ত্রী সুমী। ধারনা করা হচ্ছে তাকে আটকে রেখে জাহাঙ্গীর এসব কথা বলাচ্ছেন। সেপ্টেম্বর দুপুর একটার পরপর একই নাম্বার থেকে আবারো রাশেদের মোবাইল ফোনে কল আসে। সুমী ও ইয়ামিন নিখোজ হওয়ার পর থেকে ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর কে আর এলাকায় দেখা যায়নি। তার পরিবারের লোকজনও তার হদিস দিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু পাচার, আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। রাশেদের ধারনা তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে জিম্মী করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছে ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর। এরপর তাদের অন্যত্র বিক্রি করে দিতেও সে পিছপা হবেনা। রাশেদের ধারনা জাহাঙ্গীর সুমীকে আটকে রেকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেও পারে। কেননা তার অতীত তেমনই ভয়ঙ্কর তথ্য দিচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সন্তান রয়েছে। তারা রোহিতা উত্তরপাড়ায় বসবাস করে। এদিকে স্ত্রী সন্তান হারিয়ে রাজশ্রমিক রাশেদ দিক শুন্য হয়ে পড়েছেন। এরপর মুক্তিপণের টাকা যোগাড়ের চিন্তায় তার পাগল হওয়ার দশা। তিনি কাজকর্ম ছেড়ে বিলাপ করছেন। তার চারিদিক এখন অন্ধকার। ভূক্তভোগী রাশেদ ৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।