বেলুন বিস্ফোরণ তদন্তে কমিটি, অভিনেতা রনিসহ দুজন হাসপাতালে
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জিএমপির পক্ষ থেকে চার সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার আবু সায়েম নয়ন।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত ‘মিরাক্কেল’খ্যাত অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের চিকিৎসার খোঁজ নিতে জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান। এ সময় তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আহতদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
জিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন আহতদের চিকিৎসায় ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জিএমপির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের বাইরে উদ্বোধন মঞ্চ স্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পৌঁছলে তাকে উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার হাতে কিছু বেলুন দেওয়া হয় একসঙ্গে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও তিনি সেই বেলুন উড়াতে ব্যর্থ হন। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যরা বেলুন না উড়িয়েই সেখান থেকে অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের সামনে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করেন। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে সেই বেলুনগুলো উদ্বোধনী মঞ্চের পাশে নিয়ে যায়। অতিথিরা মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে ডেকে বেলুন না ওড়ার জন্য তিরস্কার করেন। তখন বিক্রেতা নিজেই বেলুনগুলো ওড়ানোর চেষ্টা চালান। এ সময় বেলুন বিক্রেতাসহ অন্যরা বেলুনগুলোর বাঁধন খুলে আলাদা করতে চান। তখন কেউ একজন আগুন দিয়ে বেলুনের সুতা পোড়ানোর জন্য গ্যাস ম্যাচ দিয়ে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা অভিনেতা আবু হেনা রনি, কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, রুবেল মিয়া, জিল্লুর রহমান ও মো. ইমরান হোসেন দগ্ধ হন।