গোল্ড স্কিন পেতে চাইলে
কাঁচা সোনার উজ্জ্বলতা কে না চায়? ফেসিয়াল ট্রেন্ডেও সময় এখন লিকুইড গোল্ড স্কিনের। এটি ত্বকচর্চায় এমন এক প্রক্রিয়া, যার নিয়মিত অনুশীলনে ত্বক আলোকিত হবেই। বিশেষত চাপা রঙের ত্বকের কথা মাথায় রেখেই তৈরি বিশেষ এ পরিচর্যার রুটিন। বাদামি কিংবা চাপা রঙের ত্বকের জন্য খুব বেশি জুতসই নয় এই ট্রেন্ড।
এই পরিচর্যার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি। এ ধাপকে গোল্ড স্কিনের চাবিকাঠিও বলা হয়। এক্সফোলিয়েশনের ফলে ত্বকের মৃতকোষ দূর হয়। ফলে টেক্সচার আর পোর ছাড়া নিখুঁত ত্বক পাওয়া যায় খুব সহজেই। এ ক্ষেত্রে ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভালও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের পিচ ফাজ দূর করার ক্ষেত্রে থ্রেডিং আর ওয়াক্সিং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে ত্বকবান্ধব প্রক্রিয়াগুলো বেছে নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এ জন্য ডিটক্স মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকের দূষণ দূর করবে, টান টান করে তুলবে।
ডার্ক স্কিনটোন একটু শুষ্কই হয়ে থাকে। তাই বলে ভারী ক্রিম আর ঘন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে- এমনটাও নয়। এর পরিবর্তে হালকা হাইড্রেটিং সেরাম বা হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত লোশনে কাজ চলে যাবে। যা চাপা ত্বকে উজ্জ্বলতা জোগানোর পাশাপাশি দেয় শিশিরসিক্ত আভা। এটা ত্বকের আর্দ্রভাব বাড়ায়। ফলে পেলব দেখায় ত্বক। অকালবার্ধক্য রোধ করে। এটি ত্বককে ১ হাজার গুণ বেশি পানি ধরে রাখার সক্ষমতা দেয়। এ ছাড়া ত্বক যদি হয় রোগমুক্ত তাহলে এর কোমলতা, মসৃণতা বাড়বেই। সে ক্ষেত্রে রিজেনারেটিং ফর্মুলার সেরাম ব্যবহার করতে হবে। ওমেগা ৬ এবং ৯ ছাড়াও সেরামে থাকা চাই ভিটামিন এ এবং ডি, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারায় এবং পুষ্টি জোগায়।
গোল্ড স্কিনের জন্য এমন ত্বক চাই, যা আর্দ্রতায় পরিপূর্ণ। বাইরে তো বটেই, ত্বকের একদম গভীর অব্দি যেন পরিপূর্ণ আর্দ্রতা মেলে। এক গবেষণায় জানা গেছে, অপেক্ষাকৃত গাঢ় রঙা ত্বকের কোষ স্তর বেশি থাকে, কোষের বন্ধনও তুলনামূলক মজবুত হয়। ফলে তা ভেদ করে ত্বকের গভীরে পণ্যের কার্যকারিতা পৌঁছানোর কাজ মোটেই সহজ নয়। তাই এ ধরনের ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং উপাদানের লেয়ারিং হওয়া চাই সঠিক উপায়ে। এতে ত্বক তার সাধ্যমতো পানি ধরে রাখতে সক্ষম হয়। তবে এটাও খেয়াল রাখা প্রয়োজন, ফর্সা ত্বকের চেয়ে গাঢ় ত্বকে তুলনামূলক বেশি প্রাকৃতিক তেল উপস্থিত। এ ক্ষেত্রে স্কোয়ালেন এবং ম্যাকাডেমিয়ার মতো তেলগুলো বেশি উপযুক্ত। কারণ, এ ধরনের তেল মানবদেহে উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া শিয়া বাটার, অ্যাভোকাডো অয়েল আর সেসিমি অয়েলও লিকুইড গোল্ড স্কিন পেতে সহায়ক। অনেকেরই ধারণা, গাঢ় রঙা ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেশি বিধায় তা সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষায় যথেষ্ট। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। সূর্য থেকে সুরক্ষিত না থাকলে এ ধরনের ত্বকেও সানবার্ন, সান ড্যামেজ থেকে স্কিন ক্যান্সার- হতে পারে সবই। তাই সানস্ক্রিন মাস্ট। শুধু পণ্যের ওপর ভরসা করলেই হবে না, এর সঙ্গে জরুরি নিয়মিত চর্চা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় ত্বক ম্যাসাজ করে নেওয়া। যা রক্ত চলাচল বাড়াবে, টক্সিন কমাতে সহায়তা করবে।