দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন একটা নতুন সরকার গঠিত হবে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, রাজনৈতিক নেতাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার, ফ্যাসিস্ট অনির্বাচিত ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক অথবা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও সংসদ বিলুপ্ত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের পরিচালনায় নতুন নির্বাচন। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন একটা সংসদ এবং নতুন সরকার গঠিত হবে। আরও অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি তেলের মূল্য এসব বিষয়ও আছে। আমরা একমত হয়েছি এই দাবিগুলো নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় যে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছি সেই সংলাপে আজ লেবার পার্টির সঙ্গে বসেছিলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল জাতীয় ঐক্যের জন্য আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের দাবিনামা চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছি। আমরা যে খসড়া দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।