সিএনজি স্টেশন ৭ ঘণ্টা বন্ধ রাখার উদ্যোগ
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সিএনজি স্টেশন ৭ ঘণ্টা বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিচ্ছে পেট্রোবাংলা। জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে দেশের সিএনজি স্টেশনগুলো আরও দুই ঘণ্টা বেশি সময় বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। যা আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে স্টেশনগুলো।
মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকও করেছে পেট্রোবাংলা। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর গণমাধ্যমকে বলেন, গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেট্রোবাংলা আরও দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে চায়। যদিও আমরা তাদের প্রস্তাবে সম্মত হইনি। বর্তমানে রেশনিংয়ের আওতায় দিনে পাঁচ ঘণ্টা স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। লোড শেডিংয়ের কারণে আরও ৩-৭ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে দেশের ৮০ শতাংশ সিএনজি স্টেশন। এই মুহূর্তে সিএনজি স্টেশনের বন্ধের সময়সীমা আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে বেকায়দায় পড়ে যাবেন স্টেশন মালিকরা। আরও ভোগান্তিতে পড়বেন সিএনজিচালিত গাড়ির চালকরা।
তিনি আরও বলেন, মোট সরবরাহ গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ সিএনজি স্টেশনগুলো ব্যবহার করে, যার সর্বোচ্চ দাম দেওয়া হয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং ভোগান্তি বাড়বে গাড়িচালকদের এবং চাপ পড়বে জ্বালানি তেলের ওপর।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সংকট মোকাবিলায় সবাই এগিয়ে না এলে এটা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
দুই ঘণ্টা বিকেলে না রাতে বাড়ানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন সময় করলে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ আরও একটু বৃদ্ধি করা যাবে, সেটাই দেখা হবে। উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা বন্ধ থাকত স্টেশনগুলো।
সূত্র : বাংলানিউজ।