এক নজরে ব্রাজিল-সার্বিয়া লড়াইয়ের টুকিটাকি
কাতার বিশ্বকাপটা কি নেইমারের হবে? এমন প্রশ্ন উঠলেই ব্রাজিলিয়ানদের মনে পুলক জাগে। মুচকি হাসি দিয়ে বলে, আমরা ঠিক সেরা ফেভারিট নই। আরও তো দল আছে। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্স। ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা নিজেদেরকে সরাসরি ফেভারিট না বললেও মনে মনে ঠিকই হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। হলুদ জার্সি গায়ে জড়িয়ে তারা দল বেঁধে কাতারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যায়। কারণে অকারণে ‘ওলে, ওলে’ গান গায়। সাম্বার ছন্দ তোলে যেখানে সেখানে। আজ কি নেইমার লুসাইল স্টেডিয়ামে সাম্বার ছন্দ তুলে ফুটবলের জয়গান গাইতে পারবেন!
লাতিন পরাশক্তি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রথম ম্যাচ আজ (বৃহস্পতিবার) ইউরোপের দল সার্বিয়ার বিপক্ষে। লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় শুরু হবে জি’ গ্রুপের ম্যাচটি। দুই দলের লড়াইয়ের কিছু টুকিটাকি দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
এখন পর্যন্ত রেকর্ড পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে সেলেসাওরা। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে শুরু করে প্রতিবারই খেলেছে ব্রাজিল। তবে গত ২০ বছরে খেলতে পারেনি ফাইনাল, সর্বশেষ ২০০২ সাল বিশ্বকাপে তারা ফাইনালে ২-০ গোলে জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট পায় ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশি ৮ গোল করেন দলটির সুপারস্টার নেইমার।
অন্যদিকে, সার্বিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার আলেকসান্দার মিত্রোভিচ (৫০ গোল) এবারের বিশ্বকাপের বাছাইয়ে গোল করেছেন ৮টি। তবে চোটের কারণে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে তার খেলা অনিশ্চিত। বাছাইয়ে নিজেদের গ্রুপে অপরাজিত ছিল সার্বিয়া। পর্তুগালের বিপক্ষে বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে মিত্রোভিচের গোলেই সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় তারা।
২০০৬ সালে মন্টেনেগ্রো থেকে আলাদা দেশ হওয়ার পর কখনও গ্রুপ পর্বের বাধা পার করতে পারেনি সার্বিয়া। সর্বশেষ রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও সার্বিয়া। ম্যাচটিতে ২-০ গোলে জেতে তিতের ব্রাজিল। বিশ্বকাপ ছাড়া আর একবারই একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছে এই দুই দল। ২০১৪ সালের সেই প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল।