মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজ প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে ফ্রি ল্যাপটপ বিতরণ
মালিক উজ জামান, যশোর : বেসরকারী আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রজেক্ট সমাপনী সনদ ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে মুসলিম এইড ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি যশোরের আয়োজনে প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী গ্রাজুয়েটদের মধ্যে এই সনদপত্র ও ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জনাব কামরুল আরিফ । এমএআইটি যশোরের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সেক্রেটারী এস এম তৌহিদুর রহমান, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের মনিটোরিং অফিসার এস এম সিফাত সরোয়ার, আরআরএফ যশোরের পরিচালক প্রশিক্ষণ আবুল কালাম আজাদ,আদ্ দ্বীন যশোরের পরিচালক মাইক্রোফাইনান্স ফজলুল হক, উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান জহিরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের বক্তারা দেশের কোটি কোটি বেকার জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে বলেন, বেকার যুব সমাজকে হাতে কলমে বাস্তবমুখি প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে মুসলিম এইড দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের বেকার জনগোষ্টিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মে নিয়োজিত করতে না পারলে দেশের অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হবে না। সরকারের মিলেনিয়াম গোল অর্জনে দক্ষ জনসম্পদের কোন বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য করোনা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মুসলিম এইড ইউকে যাকাত ফান্ডের অধীনে মুসলিম এইড বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের ব্যবস্থাপনায় মুসলিম এইড যশোর গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছর সময়কালে গ্রাফিক্স ডিডাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ড্রাইভিং কোর্সে শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের ফ্রি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। গত এক বছরে এই তিন কোর্সে যশোরা লের ৩৯৪ জনকে হাতে কলমে প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হয়। এর মধ্যে ২৯৬ জন ছেলে এবং ৯৮ জন মেয়ে প্রশিক্ষনার্থী ছিলেন। যাদের মধ্যে বর্তমানে ১৫৭ জন সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত আছে।