যশোর চেম্বার অব কমার্স নির্বাচন ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদ প্যানেল পরিচিতি
মালিক উজ জামান,যশোর : যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে দুইটি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করেছে। গত রোববার এই দুই প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। একটি প্যানেলের নাম দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদ। এই প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন যশোর কুইন্স হসপিটাল লিঃ এর পরিচালক ও আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির কবু। অপর প্যানেলের নাম ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান। যদিও মিজানুর রহমান খান বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন। দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৭ জানুয়ারি হবে এই নির্বাচন।
নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফিরেছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থী ও ভোটারদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে চেম্বার কার্যালয়। বরাবরের মতনই প্রার্থীরা দুইভাগে ভাগ হয়ে প্যানেল ঘোষনা করেছে।
রোববার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনে ২১ পদের মধ্যে ১২ টি সাধারণ শ্রেণির। ছয়টি রয়েছে সহযোগী ও তিনটি গ্রুপ শ্রেণির।
ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদ প্যানেল
সাধারণ শ্রেণির ১২ জন প্রার্থী হলেন,
এএসএম হুমায়ুন কবীর কবু,
মিজানুর রহমান,
আসাদুজামান মিঠু,
উজির হোসেন,
মাহাবুব আলম লাবলু,
মহাসিন আলী মিলন,
রবিউল ইসলাম রবি,
রাজু আক্তার,
জাকির হোসেন পলাশ,
আহসান কবির নিপু,
কামাল হোসেন পলাশ ও
আহসান হাবিব চৌধুরী।
সহযোগী শ্রেণির ছয়টি পদের প্রার্থীরা হলেন,
সাহিদুর রহমান টিটো, মশিয়ার রহমান, শাহীন রেজা, জিল্লুর রহমান, সাইদুর রহমান নিপু ও হাফিজুর রহমান শিলু।
সহযোগী সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এনামুল করীম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
গ্রুপ শ্রেণির তিন পদের বিপরীতে দুই প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে তারা দুজনেই নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।
১৮ ডিসেম্বর ১৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রত্যাহার করা ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের সমর্থিত চার প্রার্থী হলেন, আব্দুল মোনায়েম, বদরুজ্জামান বাবলু, মজিবুর রহমান ও আব্দুল মালেক। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমর্থিত নয়জন প্রার্থী হলেন, শেখ নুর ইসলাম, মোহাম্মদ গুলশান, কুদ্দুস আলী, আবু হোসেন, মুকুল রেজা, শেখ শওকত আলী, রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল হোসেন ও সহিদুল ইসলাম। রোববার প্যানেল ঘোষণার পর দু’ পক্ষই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে।
ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের প্রার্থী এএসএম হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, তারা যশোর চেম্বার অব কমার্সকে ঢেলে সাজাতে চান। নানা ধরনের অসংগতি রয়েছে তা দূর করবেন। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ভ্যাট, ট্যাক্স, বিভিন্ন বিল নিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন। এছাড়া, কমিটির মেয়াদ শেষ হলেই যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান করবেন। প্যানেলসহ জয়লাভ করবেন বলে মনে করছেন হুমায়ুন কবীন কবু।
নির্বাচনে ১৮টি পদের বিপরীতে ৩৭ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২০৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে সাধারণ সদস্য রয়েছেন ১০৩১, সহযোগী সদস্য ১০১০ ও গ্রুপ শ্রেণির ভোটার রয়েছেন দুইজন।
নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক সিনিয়র সহকারী কমিশনার কেএম আবু নওশাদ জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষের দিকে। ৭ জানুয়ারি যশোর কালেক্টরেট স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে।
যশোর চেম্বার অব কমার্স নির্বাচন
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল পরিচিতি
মালিক উজ জামান,যশোর : যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে দুইটি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করেছে। গত রোববার এই দুই প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। একটি প্যানেলের নাম দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদ। এই প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন যশোর কুইন্স হসপিটাল লিঃ এর পরিচালক ও আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির কবু। অপর প্যানেলের নাম ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান। যদিও মিজানুর রহমান খান বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন। দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৭ জানুয়ারি হবে এই নির্বাচন।
নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফিরেছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থী ও ভোটারদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে চেম্বার কার্যালয়। বরাবরের মতনই প্রার্থীরা দুইভাগে ভাগ হয়ে প্যানেল ঘোষনা করেছে।
১৮ ডিসেম্বর রোববার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনে ২১ পদের মধ্যে ১২টি সাধারণ শ্রেণির। ছয়টি রয়েছে সহযোগী ও তিনটি গ্রুপ শ্রেণির।
‘ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল
সাধারণ শ্রেণির প্রার্থীরা হলেন,
মিজানুর রহমান খান,
শেখ আতিকুর রহমান বাবু,
সাজ্জাদুর রহমান সুজা,
আব্দুল হামিদ চাকলাদার ঈদুল,
এহসানুর রহমান লিটু,
কবি কাশেদুজ্জামান সেলিম,
সাকির আলী,
শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু,
সায়েম সিদ্দিক,
মকছেদ আলী,
এজাজ উদ্দিন টিপু ও
খাইরুল কবীর।
সহযোগী ছয়টি পদের প্রার্থীরা হলেন,
সৈয়দ শাহজাহান আলী খোকন, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, তৌহিদুর রহমান, আজিজুর রহমান খান, ইদ্রিস আলী ও রিজভী জাহাঙ্গীর কিবরিয়া।
সহযোগী সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এনামুল করীম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
১৮ ডিসেম্বর ১৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রত্যাহার করা ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের সমর্থিত চার প্রার্থী হলেন, আব্দুল মোনায়েম, বদরুজ্জামান বাবলু, মজিবুর রহমান ও আব্দুল মালেক। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমর্থিত নয়জন প্রার্থী হলেন, শেখ নুর ইসলাম, মোহাম্মদ গুলশান, কুদ্দুস আলী, আবু হোসেন, মুকুল রেজা, শেখ শওকত আলী, রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল হোসেন ও সহিদুল ইসলাম। ১৮ ডিসেম্বর রোববার প্যানেল ঘোষণার পর দুই পক্ষই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী শেখ আতিকুর রহমান বাবু বলেন, মূলত ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া। ব্যবসায়ীদের বিপদে আপদে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাদের নেতা মিজানুর রহমান খানকে আটকের কারণে কিছুটা বিপত্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। তারপরও তারা বিচলিত না। তাদের বিশ্বাস প্যানেল ধরেই জয়লাভ করবে।
নির্বাচনে ১৮টি পদের বিপরীতে ৩৭ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২০৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে সাধারণ সদস্য রয়েছেন ১০৩১, সহযোগী সদস্য ১০১০ ও গ্রুপ শ্রেণির ভোটার রয়েছেন দুইজন।
নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক সিনিয়র সহকারী কমিশনার কেএম আবু নওশাদ জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষের দিকে। ৭ জানুয়ারি যশোর কালেক্টরেট স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে।
%%%
মালিক উজ জামান,
যশোর.
তাং-২০/১২/২০২২
মোবা-০১৩০০৮৭৫৮৭৩.