অর্থ ও বাণিজ্যপ্রযুক্তি

দেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার আয়োজন হুয়াওয়ের

[ঢাকা, ৮ মে, ২০২৩] বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি ইক্যুইপমেন্ট ও সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের সহযোগীদের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘গাইড টু দ্য ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক বর্তমান বিশ্বের নতুন অনেক উদ্ভাবন ও সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: গাইড (জিইউআইডিই), যার পূর্ণ রূপ হচ্ছে: গিগাভার্স ইনিশিয়েটিভ, আল্ট্রা-অটোমেশন স্পিডআপ, ইনটেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাজ আ সার্ভিস, ডিফারেনশিয়েটেড এক্সপেরিয়েন্স অন ডিমান্ড, ও এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স। আগামী কয়েক সপ্তাহ হুয়াওয়ে-সহ এইসকল খাতের অন্যান্য অংশীজনরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, প্রয়োগ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।

রাজধানী ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের প্রথম দিনে একটি মিডিয়া সেশন আয়োজন করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান এবং হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান বলেন, “বিভিন্ন খাতে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ও ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক প্রযুক্তিগত সমাধান চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে সে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। উদ্ভাবন হুয়াওয়ের মূল চালিকাশক্তি; আমাদের প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকেরও বেশি কর্মী গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- আরঅ্যান্ডডি) কর্মী হিসেবে নিয়োজিত। আমাদের বিনিয়োগের একটি বড় অংশই ব্যয় হয় গবেষণা ও উন্নয়নে। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই আমাদের আয়ের ২৫.১ শতাংশ (প্রায় দুই লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা)  গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের সমাধান ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আমরা বিস্তৃত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশের ইকোসিস্টেমের জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন উদ্ভাবন ও খাতের অগ্রগতির ক্ষেত্রে মত বিনিময় আমাদের দেশের রূপান্তরে ও দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আমাদের বিশ্বাস। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে আমরা আরেকটু এগিয়ে যাবো।”

বিভিন্ন খাতের অতিথিদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অতিথিরা পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসে আয়োজনটি ঘুরে দেখবেন ও হুয়াওয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর এমার্জিং মার্কেটস, ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ, বেস্ট মোবাইল টেকনোলোজি ব্রেকথ্রু ও বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য এমডব্লিউসি বার্সেলোনা ২০২৩ ফর গ্লোমো’র চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button