বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ সভা সম্পন্ন
সুনামগঞ্জ ২৮ ফেব্রুয়ারি,২০২৪ (বাসস) :
ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনস্থ চ্যানেল এস এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ-উস সামাদ চৌধুরী জেপি বলেছেন, বাংলার নারীরা এখন আর কোনদিক দিয়েই পশ্চাৎপদ নন। তারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বাংলার নারীসমাজকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করছেন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের আনোয়ারপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির (বিএফএ) কনফারেন্স হলে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন কার্যক্রমসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির (বিএফএ) প্রিন্সিপাল নাজমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএফএর চেয়ারম্যান জামিল চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ মিসেস ফাতেমা সামাদ চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যস্থ প্রবাসী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন,হোয়াইট পার্লের সিইও মোঃ সালাহ উদ্দিন,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক রওনক আহমদ বখত,বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল-হেলাল, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন,সাংবাদিক মানবেন্দ্র তালূকদার,দিরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক শামসুল ইসলাম সরদার খেজুর ও সাংবাদিক ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
নারী শিক্ষার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির (বিএফএ) অল্প কিছুদিনের মধ্যেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান অতিথি আহমেদ-উস সামাদ চৌধুরী। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের হাতে আমেরিকান প্রবাসীদের দেয়া ৩ লাখ ও তার সহধর্মীনি ফাতেমা সামাদ এর দেয়া ১ লাখ টাকার নগদ আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করেন। বক্তারা আরো বলেন,জামিল চৌধুরী একজন কাজের মানুষ যিনি নিজের আরাম আয়েশের জীবনকে উপেক্ষা করে ৮১ বছরের দীর্ঘ বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরও এতিম অসহায় কিশোরীদের উন্নয়নে প্রাণপন ছুটে চলেছেন। তার এ কর্মতৎপরতা দেখে দেশ বিদেশের সকল শিক্ষানুরাগীরা শিক্ষাসেবায় উৎসাহী হয়ে এগিয়ে এসে মানবতার কাতারে শামিল হওয়ার সদিচ্ছা প্রকাশ করছেন। তারা প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকার ও বিত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহবাণ জানান।
উল্লেখ্য ২০০৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এতিম অসহায় কিশোরীদের নিয়ে এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে নার্সারী প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে প্রতিষ্ঠানটিতে।