অর্থ ও বাণিজ্যবিশেষ খবর

স্বর্ণ চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান প্রয়োজন: বাজুস প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‌‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি, মার্কিন ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সঙ্কটসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং অব্যাহতভাবে বেপরোয়া চোরাচালানের ফলে বহুমুখী সঙ্কটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। চলমান পরিস্থিতিতে স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মূলত এই চোরাকারবারিদের একাধিক সিন্ডিকেট বিদেশে স্বর্ণপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হয়। দেশে চলমান ডলার সঙ্কট ও অর্থপাচারের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালানের সিন্ডিকেটসমূহের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কাস্টমসসহ দেশের সকল আইন- প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের জোরালো অভিযান ও শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন’।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। বিবৃতিতে বাজুস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘সারাদেশে শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’।

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতিকারী, চোরাকারবারী যাতে দেশবিরোধী ও অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে। অনেক চোরাকারবারীকে আইনের মুখোমুখি করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে’।

বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন স্বর্ণ বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সরকারের সকল সংস্থাসমূহকে প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি। এছাড়া চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থাসমূহের সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের অনুরোধ করছি। মূলত চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারি সংস্থাসমূহের সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাজুসের এই প্রস্তাবনা। বাজুসের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে স্বর্ণের চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে’।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button