শীর্ষ নিউজ

অভয়নগরে ১৫ ‘বীর নিবাস’


মালিক উজ জামান, যশোর : মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার যশোরের অভয়নগরে অসচ্ছল ১৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’ নামে একটি করে মানসম্মত বাড়ি। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় অভয়নগরে ১৫টি ‘বীর নিবাস’ বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে দুই কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ৩০ হাজার বাছাইকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের উত্তরাধিকারীগণের বসবাসের জন্য একতলা দালানবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব বাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বীর নিবাস’। একটি বীর নিবাস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া ও পাথালিয়া গ্রামে দুটি, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে দুটি ও ধুলগ্রামে একটি, প্রেমবাগ ইউনিয়নের প্রেমবাগ গ্রামে একটি, চলিশিয়া ইউনিয়নের চলিশিয়া গ্রামে একটি, শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতি গ্রামে দুটি ও বাশুয়াড়ী গ্রামে একটি।
এছাড়া বাঘুটিয়া ইউনিয়নের জয়খোলা গ্রামে একটি, নওয়াপাড়া পৌরসভার কাপাশহাটি ও গুয়াখোলা গ্রামে দুটি এবং মশরহাটি গ্রামে দুটি মোট ১৫টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
‘বীর নিবাস’ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেসার্স ফারুক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মমতাজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও মেসার্স জামান এন্ড ব্রাদার্স কাজ করছে। প্রতিটি বীর নিবাসে থাকছে একটি করে খোলা বারান্দা, দুটি বেডরুম, একটি ড্রইংরুম, একটি ডাইনিংরুম, দুটি টয়লেট ও একটি কিচেন (রান্নাঘর)।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদ খান জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সংকট সমাধানে কাজ শুরু করে আমাদের বিরল সম্মানে ভূষিত করেছেন। অসচ্ছল ও কষ্টে থাকা মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের উত্তরাধিকারীরা ‘বীর নিবাস’ নামে একটি স্থায়ী ঠিকানা পেতে যাচ্ছে।
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম না জানানোর অনুরোধ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় অভয়নগরে ১৫ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাস্তবায়নাধীন ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫টি করে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা আখতার জানান, ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button