অর্থ ও বাণিজ্যশীর্ষ নিউজ

যশোরে ফলের বাজারচড়া, ইচ্ছাখুশি দাম বিক্রেতা ব্যবসায়ীর


মালিক উজ জামান, যশোর :যশোরেফলেরবাজারচড়া। যশোরশহরসহ জেলারসকলাউপজেলাএলাকা, এমনকি স্থলবন্দর বেনাপোল ও শিল্পশহরনওয়াপাড়ায়ফলব্যবসায়ীরা ইচ্ছেখুশী দরদামেফল বেচাকেনাকরছেবলেঅভিযোগরয়েছে।
যশোরশহরের দড়াটানা, গাড়ীখানা, সিভিলকোর্টের মোড়, রেলস্টেশন, বড়বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, মনিহারসিনেমাহল ও তারআশপাশ, খাজুরাবাসস্ট্যান্ড ও নড়াইলবাসস্ট্যান্ডেফল বেচাকেনা হয়। এছাড়াপ্রতিটি পৌরএলাকায়রয়েছেফলের মোকাম। গ্রামেরহাটবাজারেওফলনিয়মিত বেচাকেনা হয়। কিন্তজিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, ডলার সঙ্কট এসবঅজুহাতেফলব্যবসায়িরা ক্রেতারপকেটকাটছে। ইচ্ছেখুশি দরদামনিচ্ছে বিক্রেতারা।
অভয়নগরউপজেলাজুড়েফলেরবাজারচাড়া। শিল্পশহরনওয়াপাড়ায়ক্রেতাদেরকাছ থেকে ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেনব্যবসায়ীরা। বাজারমনিটরেকর্তৃপক্ষেরউদাসীনতায়ফলেরবাজারনিয়ন্ত্রণহীনহয়েপড়েছেবলে ক্রেতারাজানিয়েছেন। স্বাধ থাকলেওসাধ্য নেইনি¤œআয়েরমানুষের।নওয়াপাড়াফলব্যবসায়ীদের জন্য ভাল মোকাম। কারণএখানেরয়েছেঅসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসহরয়েছে স্কুলকলেজ। এখানেসকাল থেকে রাতপর্যন্তচলেনানা শ্রেনি ও পেশারমানুষেরআনাগোনা। এছাড়াযশোরখুলনামহাসড়কহওয়ায়বিভিন্ন জেলারমানুষেরাএখানেএসে কেনাকাটাকরে। স্থানীয়বিভিন্নপ্রতিষ্ঠানেরফলেরচাহিদা মেটাতে হয় এ বাজার থেকে।
স্থলবন্দর বেনাপোল, নাভারন, ঝিকরগাছাবাসস্ট্যান্ড, নওয়াপাড়াবাজারনুরবাগবাসস্টান্ড, রেলস্টেশন, ক্লিনিকপাড়াবাজার, হাসপাতাল মোড়, আকিজসিটিসহউপজেলারকয়েকটিবাজারেঘুরে দেখাযায়, এ সব বাজারেফলের দাম আগুন। আপেল ৩০০ টাকায়বিক্রি করছেনব্যবসায়ীরা। একইভাবেসাদা আঙ্গুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কমলা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, খেজুর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, আনারফল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, নাশপাতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা , বেদানা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, লটকনফল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, আপেলকুল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, ড্রাগনফল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াওসবেদাফলহালি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পাকা পেঁপে ও বেলআকার ভেদে ৬০ থেকে ২০০ টাকাপর্যন্তবিক্রয়হচ্ছে। কিছুকিছুব্যবসায়ীরাঅতিমুনাফার লোভেইচ্ছামত দাম হাকিঁয়েফলবিক্রয়করলেও ক্রেতাসাধারণেরকিছুইকরার থাকেনা।
ফলকিনতেআসাটফি, আব্দুররশিদ, আব্দুর রাজ্জাক, ইব্রাহিমসর্দার, আবুল হোসেন, সুমন সরদার, টুটুলগাজী, রাজুআহমেদ, ইদ্রিস আলী, হাফিজুররহমান, রিমা বেগম, বাবরআলী, আইয়ুবআলীজানান, কয়েকদিনেরব্যবধানেনওয়াপাড়ায়ফলেরবাজারউর্ধ্বমুখীহয়েছে। ফলেপরিবারের ও রোগীদের জন্য ফলকিনতেহিমশিম খেতে হচ্ছে।
ভ্যানচালকইকরামুল হোসেনজানান, আমার মেয়ে অসুস্থ হয়েহাসপাতালেভর্তি আছে। তার জন্য দুইটিমালটাকিনতেএসেওজনদিয়ে ১০৮ টাকা দাম হওয়ায়নাকিনেইফিরেআসতেহল।
ফলব্যবসায়ীমুজিবর ও আসাদুলজানান , গতকালযা ১০টাকায় কিনেছি, আজতা ১৫ থেকে ১৮টাকায় কিনতেহচ্ছে। এ রকমপ্রতিটাফলেরমূল্য দিন গেলেইবৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণেআমাদের যেমন কেনা তেমনি বেচা।ড্রাগনফল গত সপ্তাহে দাম ছিল ২৫০ টাকাএখনকিনতেএসে দেখি ৩৪০ টাকা । এভাবেইফলের দাম বাড়তে থাকলেপরিবারেসদস্যদেরফলেচাহিদা মেটানো সম্ভব হবেনা। কিন্তু অস্থিরফলেরবাজারসহ সব ধরণেরনিত্যপণ্য ক্রয় ক্ষমতারমধ্যে আনার জন্য তিনিবাজারমনিটরিংয়ের দাবিজানিয়েছেন।
সচেতনমহলের দাবি, যদি দ্রুতবাজারমনিটরিংনাকরা হয় তাহলেব্যবসায়ীরানিত্য পণ্যের দাম দেদারচ্ছেবৃদ্ধি করবে।
এ ব্যাপারেযশোরসদরউপজেলানির্বাহীঅফিসারঅনুপ দাশ কোনমন্তব্য করেননি।
যশোরসদরউপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফাফরিদ চৌধুরী জেলারবাইরে অবস্থানকরছেন।
উপজেলানিবার্হীঅফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারীকমিশনার (ভুমি) থান্দার কামরুজ্জামান জানান, দ্রুতবাজারমনিটরিংয়েরব্যবস্থা গ্রহণকরাহবে।
এ বিষয়েউপজেলাপরিষদের চেয়ারম্যানশাহফরিদ জাহাঙ্গীর জানান, ফলব্যবসায়ীরাফলের দাম বেশিরাখলেতাদেরবিরুদ্ধে ভ্রাম্যমানআদালতপরিচালনাকরেআইনগতব্যবস্থা নেয়াহবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button