অর্থ ও বাণিজ্যচট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে, বাজারে প্রভাব এড়াতে শনিবারেই চিনি রিফাইন ও সরবরাহ শুরুতে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ

৭ মার্চ ২০২৪, ঢাকা: এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি চিনির গুদামের দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিগত ৪ মার্চ বিকেলে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনা ঘটে। সরকারের উচ্চমহল, ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনী সহ মিলের কর্মচারী ও প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর গুদামের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগামী শনিবার (৯ মার্চ) থেকে যেন আবারো চিনি উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা যায়, তাই মিল পরিষ্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। সৌভাগ্যবশত আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগামী ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে যা ভোক্তাদের জন্য বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। অধিকন্তু, শনিবার থেকে পুনরায় চিনি পরিশোধন কার্যক্রম শুরু হলে তা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন,  “আজ বিকেল থেকে ইতোমধ্যে পরিশোধিত থাকা চিনির মজুত থেকে বাজারে সরবরাহ শুরু হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পড়ে।”

তিনি আরো বলেন, “পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামগুলোতে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।”

এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে প্রয়োজন মোতাবেক সব ধরনের ফায়ার ইকুইপমেন্ট ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাই ছিল। তবে আগুনের ভয়াবহতা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেশের সুগার মিলে সবচেয়ে বড় এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে  সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ দূষণ এড়াতে- গলিত চিনি এস. আলম গ্রুপের নিজস্ব খালি জায়গায় সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রায় ৩০টি ডাম্পট্রাক দিয়ে গলিত র-সুগার ডাম্পিং করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হচ্ছে যাতে র-সুগার নদীতে না পড়ে। এছাড়া, গুদামের দেওয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কায় দেওয়া হয়েছে বালির বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছিল সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button