চীনকে ঠেকাতে তহবিল গঠনের ঘোষণা জি৭-এ। ৬০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল তৈরি করা হবে। এই অর্থ দিয়ে নিম্নআয়ের দেশগুলোতে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যা যে কোনও আবহাওয়া সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে।
রবিবার জার্মানিতে গ্রুপ অব সেভেন (জি৭) দেশের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসেন। ৬০ হাজার কোটি ডলারের পরিকাঠামো তহবিলই ছিল সেখানে প্রথম ঘোষণা। চীন ইতোমধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়েছে। তারই মোকাবিলায় জি৭ এই প্রকল্প হাতে নিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, “এই বিনিয়োগের ফলে সকলে লাভবান হবে। আমেরিকার মানুষও লাভবান হবে। সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হবে।”
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা এই বিআরআই চাপিয়ে দিয়ে কম আয়ের দেশগুলোকে ঋণজালে আবদ্ধ করছে। এর ফলে চীনের লাভ হচ্ছে। কারণ, তারা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে বাণিজ্য বিস্তার করতে পারছে।
নতুন জি৭ তহবিল থেকে অ্যাঙ্গোলায় ২০০ কোটি ডলার দিয়ে সোলার ফার্ম গড়ে তোলা হবে, ৩২ কোটি ডলার দিয়ে আইভরি কোস্টে হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চার কোটি ডলার দিয়ে আঞ্চলিক স্তরে বিকল্প শক্তি বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া হবে।
বাইডেন-শলৎস বৈঠক
আলপাইন অঞ্চলের এলমাউ দুর্গে বৈঠকের প্রথম দিনেই জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ভাষণ দেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা খুব জরুরি। জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, রাশিয়া এখন শক্তিকে (তেল-গ্যাস-কয়লা)একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় এই পরিকল্পনা নেওয়া দরকার ছিল।
শলৎস ও বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। সেখানে প্রতিরক্ষাবাজেট বাড়ানোর জন্য বাইডেন শলৎসের প্রশংসা করেছেন। বাইডেন বলেছেন, জার্মানি হল আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও শরিক দেশ। বাইডেন জানিয়েছেন, জি৭ ও ন্যাটো দেশগুলো যেন এক হয়ে রাশিয়ার মোকাবিলা করে।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাজ্য ঘোষণা করে, আমেরিকা, জাপান, কানাডা ও যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ করছে। এর ফলে রাশিয়ার উপর আরও চাপ তৈরি করা যাবে বলে যুক্তরাজ্য মনে করছে। এর ফলে পুতিন সরাসরি ধাক্কা খাবেন বলে তারা মনে করছে। আমেরিকা জানিয়েছে, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি৭ বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হবে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে