শ্রীরামই টি-টোয়েন্টির ‘হেড কোচ’
সাকিবদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শনিবার। রবিবার ও গতকাল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। কিন্তু টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে প্রথম দুদিন মিরপুর স্টেডিয়ামের আশেপাশে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে ফিরে অনুশীলনের প্রথম দিন মাঠে গিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ দেখে ফেলেছিলেন ডমিঙ্গো। প্রধান কোচ ছাড়া বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে পথ চলতে শুরু করেছে তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন টিম ডিরেক্টর, নির্বাচক প্যানেল এমনকি ক্রিকেটাররাও। সঙ্গে বিসিবি সভাপতির আগের দিনের ঘোষণা সব প্রায় চূড়ান্তও হয়ে যায়, ‘আমরা টি-টোয়েন্টির জন্য সবকিছু পাল্টে দিচ্ছি। নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছি।’
সভাপতির পাল্টে দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট নিয়োগ। ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার শ্রীধরন শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল, আইপিএলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকা এ কোচ আজ দলের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। কাগজে-কলমে তার পদবি ‘টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট’ আর মৌখিকভাবে ‘হেড কোচ’, যা আড়ালেই থাকবে। অন্তত বিসিবি সভাপতির আজকের কথায় তা বুঝতে আর বাকি থাকে না, ‘হেড কোচ (টি-টোয়েন্টিতে) বলতে এখন পর্যন্ত কেউ নেই। এখানটায় আমাদের ব্যাটিং কোচ রয়েছে। আমাদের স্পিন কোচ, পেস বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ রয়েছে। আমাদের অধিনায়ক আছে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের টেকনিক্যাল পরামর্শক আছে একজন। সে ম্যাচের পরিকল্পনা দেবে। যদি পরিবল্পনা সে দেয় তাহলে হেড কোচ কি করবে আর? প্রধান কোচের তো কোনো কাজ থাকে না।’
তবুও এশিয়া কাপের মতো আসরে দলকে লিড করবে কে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। জবাবে নাজমুল হাসান যে উত্তর দিয়েছেন তা স্রেফ অবিশ্বাস্য বটে, ‘আমাদের টিম ডিরেক্টর (খালেদ মাহমুদ) আছে। জালাল ভাই থাকছেন (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান)। আমি থাকছি। আর কি?’
মূলত স্বাধীনভাবে শ্রীরামকে কাজ করতে দিতে এবার এশিয়া কাপে কাউকে আনুষ্ঠানিক হেড কোচ করছে না বিসিবি। এ বিষয়ে বিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘আমরা যদি ডমিঙ্গোকে পাঠাই, আপনার কি মনে হয় ম্যাচের পরিকল্পনা শ্রীরাম করবে? ও স্বাধীনভাবে করতে পারবে? একজন যদি হেড কোচ থাকে তারও তো একটা মতামত থাকে। আমরা তো আলাদাই করতে চাচ্ছি। খামোখা আমরা দলের মধ্যে কোনো কনফিউশন তৈরি করতে চাইনি।’