খেলা

আড়ালে থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন জিরুদ

কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল পাঁচটি, লিওনেল মেসির চারটি। কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটের দৌড়ে প্রবলভাবে আলোচনায় যেন এই দুই জনই। সেভাবে কেউই বলছেন না অলিভিয়ে জিরুদের কথা। তিনিও তো করেছেন চারটি গোল। এসব নিয়ে হয়তো খুব একটা ভাবছেন না ফরাসি এই স্ট্র্রাইকার।

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহারণে ২-১ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। অহেলিয়া চুয়েমেনি দূরপাল্লার শটে শিরোপাধারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর হ্যারি কেইনের সফল স্পট কিকে সমতায় ফিরে ইংলিশরা। ৭৮তম মিনিটে দারুণ হেডে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন জিরুদ।
রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচ জিতে ফ্রান্সও আছে মুকুট ধরে রাখার পথে। কিন্তু জিরুদ যেন মুকুটহীন রাজার মতো পাদপ্রদীপের আলোর বাইরে থাকাদের দলে। আড়ালে থেকে যিনি রাজ দায়িত্ব অনুক্ষণ পালন করে যান নীরবে, নিভৃতে।

এই কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আগে করিম বেনজেমার ছিটকে যাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে যত প্রতিবেদন, এমবাপ্পের মহাতারকা হয়ে ওঠার পথে সম্ভাব্য যাত্রা শুরু কিংবা চুয়েমেনির উদীয়মান তারকা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে যত আলোচনা, তার ছিটেফোঁটাও জিরুদকে নিয়ে হয়নি। কেউ বলেননি, বেনজেমা নেই, জিরুদ তো আছে।

জিরুদের বয়স ৩৬ বছর। ৩৫ বছর বয়সী মেসি, ৩৭ বছর বয়সী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর এটাই শেষ বিশ্বকাপ কিনা, তা নিয়ে আলোচনার ঝড় বয়ে গেছে, কিন্তু বয়সের পাল্লায় এই দুই জনের মাঝে থাকা জিরুদকে নিয়ে আলাপন কতটুকু? অথচ সেই গ্রুপ পর্ব থেকে আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি।

গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল জিরুদের। শেষ ষোলোয় পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ জয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেওয়ার গোলটিও তার। সবশেষ ১৯৬৬ সালের পর আরেকটি বিশ্বকাপের জন্য ক্ষুধার্ত থাকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জয়সূচক গোলটিও তার নিখুঁত হেডের ফল। তারপরও তিনি শিরোনাহীন।

২০১১ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে আক্রমণভাগে নিজের সামর্থ্যের ছাপ রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। এই বিশ্বকাপেই তিনি থিয়েরি অঁরিকে (৫১টি) পেছনে ফেলে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার কীর্তি গড়েন। ইংল্যান্ড ম্যাচে গোলের সংখ্যা নিয়ে গেলেন ৫৩তে। ফ্রান্স সেমিফাইনালে ওঠায় জিরুদের সামনেও সুযোগ আছে আরও গোল করার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button