মণিরামপুরের খলিলুর ৩ জাতের তরমুজ চাষে সফল
মালিক উজ জামান, যশোর : বাজারে সাধারণত দেখা মেলে সবুজ বা গাঢ়ো সবুজ বর্ণের তরমুজ। কিন্তু ব্যতিক্রমী সোনালি বর্ণের বিদেশি গোল্ডেন ক্রাউন, ব্লাকবেরি ও বাংলালিংক তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার কৃষক খলিলুর রহমান। তরমুজ বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা লাভ হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন এই বিপ্লবী কৃষক।
গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ জমিতে এ বছর তিন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান। তাকে দেখে এখন এই ফল চষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেকেই। যশোর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোল্ডেন ক্রাউন, ব্লাকবেরি ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তরমুজ মাটিতে হলেও গোল্ডেন ক্রাউন, ব্লাকবেরি ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ মাচায় বড় হয়। বীজ বপণের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় ফল কাটা শুরু হয়। সম্প্রতি কৃষক খলিলুর রহমানের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ গাছের বোটাই বোটাই বাঁশ আর প্লাস্টিকের জালের সুতায় তৈরি মাচায় ঝুলছে তরমুজ। ফলন ভালো হওয়ায় খলিলুর রহমানের চোখ মুখে আনন্দের ছোঁয়া ফুটে উঠেছে।
খলিলুর রহমান জানান, আমি সবসময় বাজারে চাহিদা সম্পন্ন নতুন জাতের ফসল ও সবজি চাষ করি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বরাবরই সহযোগিতা পাচ্ছি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমার বোনের বাড়ি। সেখান থেকেই তরমুজের বীজ সংগ্রহ করি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে শীতকালীন ফসল শেষ হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে ৫ বিঘা জমিতে তরমুজের বীজ রোপণ করি। বীজ রোপণের পর ছয়টি গাছ বের হয়। পরে লম্বা বাঁশের চটা দিয়ে মাচা দেয়া হয়। ২৫ থেকে ৩০ দিন পর ফুল আসে এবং দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে এই তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দামটাও ভালো পাওয়া যায়। বাজারে বর্তমানে এই তরমুজ ৬৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর তরমুজ চাষে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৪ লাখ টাকার মতো লাভ হবে।’
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, নতুন জাতের এই তরমুজ চাষে কৃষক খলিলুর রহমানকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।