বিশেষ খবর

আজই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ‘মোখা’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে আজই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কিয়াকপিউ বন্দরের মাঝ দিয়ে স্থলভাগে ওঠে আসতে পারে। এসময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার।

মোখার প্রভাবে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমে বুধবার সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেড়েছে। তাই দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরাধীন নয়াদিল্লি ভিত্তিক এই কেন্দ্রের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাশ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেবে, তখন গতি ওঠে যাবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরের দিকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেবে ‘মোখা’। তখন ঝড়ের কেন্দ্রে গতি ওঠে যাবে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত আর রাতেই এটি রুপ নেবে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে, যখন কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

শুক্রবার দুপুরের দিক ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত, রাতে আরো শক্তি সঞ্চয় হয়ে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর থেকেই মূলত শক্তি কিছুটা ক্ষয় করতে শুরু করবে ‘মোখা’।

শনিবার দুপুরের দিকে ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ নেমে আসবে ১৬০ কিলোমিটারে, রাতে যা ১৪০ কিলোমিটার হবে। এরপর রবিবার (১৪ মে) দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা রাতে নেমে আসবে ৭০ কিলোমিটারে। এদিন দুপুরের দিকেই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নিয়ে কক্সবাজার ও কিয়াকপিউ উপকূলে আঘাত হানবে ‘মোখা’।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button