পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমলেও কমেনি খুচরায়
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত দু’দিনের ব্যবধানে মণ প্রতি দাম কমেছে ২৫০-৩০০ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের পেঁয়াজের বাজার। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না দাম। তবে সরকার পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবতেই নগরীর চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে দাম। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতকাল পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়। প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ১০ থেকে ৫ টাকা।
এদিকে গতকাল নগরীর দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, চকবাজারের বিভিন্ন দোকানে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ভ্যান গাড়িতেও।
চকবাজারের ব্যবসায়ী মিলন হাওলাদার বলেন, পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে আজকে (গতকাল)। সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে আসতে আরো ৩ থেকে ৭ দিন সময় লাগবে। এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে আগে বাড়তি দামে কেনা পেঁয়াজই রয়ে গেছে। এখন পাইকারিতে কমলেই সাথে সাথে খুচরায় কমাতে পারে না ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন দামের পেঁয়াজ আসলে দাম অবশ্যই কমবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করে তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায়। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এখন যখন সরকার আমদানির হুমকি দিয়েছে অমনি দাম কমতে শুরু করেছে।
ভোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, দাম বাড়ার কথা শুনলেই পণ্যের দাম বাড়াতে দু’মিনিট অপেক্ষা করে না ছোট বড় সব ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কমলে নানা তালবাহানা করে। ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের দাম কমলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করতে হবে। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাবে না।