স্বাধীনতা তুমি’খ্যাত নাগরিক কবি শামসুর রাহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) অবস্থায় ২০০৬ সালের এই দিনে ৭৭ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী বনানী কবরস্থানে কবির মায়ের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।
প্রতিবাদী ও শহুরে কবি হিসেবে খ্যাতি থাকলেও তাঁর পেশা ছিল সাংবাদিকতা। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক।
এছাড়া তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার ও আদমজী সাহিত্য পুরস্কার। সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন মিতসুবিসি পুরস্কার। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
কবির গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে হলেও ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি পুরনো ঢাকার মাহুতটুলিতে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। ১৩ ভাইবোনের মধ্যে কবি ছিলেন চতুর্থ। ১৯৫৫ সালের ৮ জুলাই জোহরা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কবি। সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান নামের কবির তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।