৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে ৪ হাজার ৩২২ জনের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে স্থানীর সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) ১৫৬ পদে নিয়োগ স্থগিতই থাকবে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আর এলজিইডির পক্ষে ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদেশের পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, ৪০তম বিসিএসের নন ক্যাডার নিয়োগে প্রক্রিয়াধীন ছিল। এ অবস্থায় এলজিইডি তাদের ১৫৬টি পদ প্রত্যাহারের জন্য পিএসসির কাছে আবেদন করে। কিন্তু তাদের আবেদনটি বাতিলের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার যারা ছিলেন তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৫৬ পদে নিয়োগ বাতিলের আবেদনটি স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এলজিইডির আপিল দায়ের করলে চেম্বার আদালত সেটা স্থিতাবস্থা জারি করেন।
তিনি আরও বলেন, চেম্বার আদালতের এ আদেশের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। যেটি হলো ৪৪৭৮ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই আটকে যায়। এ কারণে এলজিইডির বাইরে অন্যান্য বিভাগের ২২৫ জন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল আদালত আজকে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থা সংশোধন করে শুধুমাত্র ১৫৬ পদের স্থিতাবস্থা বহাল রেখেছেন। এরফলে বাকি ৪ হাজার ৩২২ পদে নিয়োগে আর কোনো বাধা রইলো না।
২০১৪ সালের সংশোধিত বিধিমালা অনুসারে বিসিএস নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ কার্যক্রম হয়ে আসছিল। তবে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগে এসে এ বিধিমালা ফের সংশোধনের উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। যার কারণে গত বছরের নভেম্বরে ৪০তম বিসিএসের ক্যাডার পদে গেজেট হলেও নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ দেয়া যায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনও করেন অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা। প্রার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে গত ১৪ জুন নতুন নিয়োগবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। নতুন বিধি অনুযায়ী ১৯ জুন ৪ হাজার ৪৭৮ নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদন নেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে নন -ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী পদে ১৫৬ জনকে নেয়ার কথা বলা হয়। ফলে এ পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন প্রার্থীরা। কার্যক্রম চলাকালীন হঠাৎ সহকারী প্রকৌশলী পদ বাতিল করে এলজিইডি অধিদপ্তর। বাতিলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন ওই পদে নিয়োগ প্রত্যাশী ২২ প্রার্থী। এ রিটে আটকে যায় পুরো ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম।