বেজা’য় ৫৮হাজার কোটিটাকারও বেশিবিনিয়োগে ৫০ হাজারেরও বেশিকর্মসংস্থান তৈরি করছে এস. আলমগ্রুপ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ঢাকা:বাংলাদেশ অর্থনৈতিকঅঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর অনুমোদিতবিশেষ দুইটিশিল্পাঞ্চলেদেশের অন্যতমশীর্ষ ব্যবসায়িকশিল্পগোষ্ঠী এস. আলমগ্রুপ এর সর্বমোট ৫৮ হাজার কোটিটাকারও বেশিবিনিয়োগপ্রক্রিয়াধীনরয়েছে। এরমধ্যে বিদ্যুৎখাতে ৩৫ হাজার কোটিটাকা, এইচ.আরকয়েলখাতে ১৫ হাজার কোটিটাকা, ডিআরআইপ্ল্যান্টখাতে ৭ হাজার ৫ শ কোটিটাকা, প্রাইভেটইকোনমিক জোন দুটির ডেভেলপমেন্ট এ ৫ শ কোটিটাকারও বেশিবিনিয়োগেরপরিকল্পনারয়েছে কোম্পানিটির। চট্টগ্রামেরবাঁশখালীতেনির্মাণাধীন এই বিশেষ অর্থনৈতিকশিল্পাঞ্চলটি দুইটিরকার্যক্রম শুরুহলেপ্রায় ৫০ হাজারের বেশিনতুনকর্মসংস্থান তৈরি সহবিপুল বৈদেশিকমুদ্রা সাশ্রয় ও সরকারেরব্যাপকরাজস্ব আহরণেরনতুনদ্বারউন্মোচিতহবে।
চট্টগ্রামেরবাঁশখালীরআলোকদিয়ায় ১৮৪ একরজমিরওপরগড়ে উঠছে ‘বাঁশখালী এস. আলমইকোনমিক জোন ১’। এই প্রকল্পেগ্রিনএনার্জিসহউচ্চ-সক্ষমতার ‘কম্বাইনডসাইকেলপাওয়ারপ্ল্যান্ট’নির্মাণেইতোমধ্যে বিদেশিবিনিয়োগকারীরাআগ্রহ দেখিয়েছেন ও বহুলাংশেতাদের সাথে সমঝোতাওহয়েছে।
এই অর্থনৈতিকঅঞ্চলটির অবস্থানসমুদ্রেরপার্শ্ববর্তীহওয়ায়এবংজলপথেরপরিবহনব্যবস্থার সুযোগ থাকায়শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও কারখানাগড়ে তোলারআদর্শ স্থানহিসাবেবিবেচিতহবে। ‘বাঁশখালী এস. আলমইকোনমিক জোন ১’এ মোটবিনিয়োগ করা হচ্ছেপ্রায় ৩৫ হাজার কোটিটাকা। প্রকল্পটিপুরোপুরিগড়ে তোলার পর এখানেসরাসরি ৫ হাজারমানুষেরকর্মসংস্থান তৈরি হবে। বেজা’রশর্তপূরণের জন্য এই প্রকল্পটিরভূমিউন্নয়নেরকাজএখনচলমানরয়েছে।
এছাড়া, ‘বাঁশখালী এস. আলমইকোনমিক জোন ২’ বেজা কর্তৃপক্ষেরনিকটহতেপ্রাথমিকঅনুমোদনের পর চট্টগ্রামেরবাঁশখালীরগন্ডামারায়বাস্তবায়নাধীনরয়েছে। এই প্রকল্পটিগড়ে তোলাহচ্ছে ২৫৯ একরজুড়েএবং এতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে ২২ হাজার ৫ শ কোটিটাকা । সমুদ্রেরনিকটবর্তীহওয়ায়‘বাঁশখালী এস. আলমইকোনমিক জোন ২’ ভারীশিল্পায়নের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। জাপান ও ইউরোপসহ বিদেশিবিনিয়োগকারীরাইতোমধ্যে স্থানটিতেস্টিলইন্ডাস্ট্রি (এইচ.আরকয়েল) গড়ে তোলা ও তারপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয়অবকাঠামোগড়ে তোলায়কাজকরছেন। ‘বাঁশখালী এস. আলমইকোনমিক জোন ২’ প্রকল্পটিপুরোপুরিভাবেবাস্তবায়িতহলে সেখানেআরো ৪০ হাজারের বেশিকর্মসংস্থান ও উন্নয়নকার্যক্রমগুলোরমাধ্যমে সাশ্রয়হবেপ্রচুর বৈদেশিকমুদ্রা। এছাড়া, ভবিষ্যতে আরো ৪ শ একরভূমি‘বাঁশখালী এস. আলমইকোনমিক জোন ২’ এ যুক্ত করা ও জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বেশ কিছুমাঝারি ও ভারীশিল্প স্থাপনেরপরিকল্পনারয়েছে কোম্পানিটির।
এস. আলমগ্রুপ এর উদ্যোগে এই ইকোনমিক জোনগুলোতেইতোমধ্যে ১টি গ্রিনস্টিল প্রজেক্ট ও ১টি গ্রিন কম্বাইনডসাইকেলএলএনজিঅ্যান্ডহাইড্রোজেনপাওয়ারপ্ল্যান্টপ্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এসববিনিয়োগপ্রকল্পেইটিপি, এসটিপি, পর্যাপ্তবিদ্যুৎ, চার লেনেররাস্তাঘাটসহঅন্যান্য অবকাঠামো ও শিল্পউন্নয়নসুবিধারয়েছে। ফলেশিল্পাঞ্চলগুলোরমাধ্যমে বেজার অর্থনৈতিককর্মকা-আরোবিস্তৃত হবে।
বাংলাদেশ এর ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিকপ্রবৃদ্ধিরধারাবজায়রাখতেউৎপাদন ও রপ্তানিমুখীশিল্পেরপ্রসারেরবিকল্প নেই। এস. আলমগ্রুপ এর এই বিশেষ অর্থনৈতিকঅঞ্চল দুইটি টেকসইশিল্প-প্রতিষ্ঠানগড়ে তোলায়সরকারেরভিশন অর্জনের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতি জোরদারএবংকর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালনকরবে। অত্যাধুনিকঅবকাঠামো তৈরি ও নির্বিঘœপরিবহনব্যবস্থার মাধ্যমে অনুসরণীয়শিল্পাঞ্চলগড়ে তোলায়পর্যাপ্তসহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনায়কাজকরেছে বেজা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় অর্থনীতিতে এস. আলমগ্রুপ এর ইকোনমিক জোন দুটিরভূমিকা প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে- ইতোমধ্যেই এস. আলমগ্রুপ এর পাওয়ারপ্ল্যান্টঅঞ্চলবাঁশখালীতেট্যাক্স প্রদানকারীরসংখ্যা ও সরকারেররাজস্ব বৃদ্ধি বিগত ৫ বছরেকয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৫-৬ বছরেইকোনমিক জোন এর প্রকল্পগুলোপুরোপুরিবাস্তবায়িতহলেট্যাক্স ও সরকারেররাজস্ব তাৎপর্যপূর্ণভাবেবৃদ্ধি পাবে যা স্থানীয় অর্থনীতিকেআরো শক্তিশালী করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালেপ্রতিষ্ঠিতবাংলাদেশ অর্থনৈতিকঅঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রধানমন্ত্রীরকার্যালয়েরআওতাধীনএকটিপ্রতিষ্ঠান। এটিবাংলাদেশে অর্থনৈতিকঅঞ্চলপ্রতিষ্ঠা, লাইসেন্স প্রদান, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনাএবংনিয়ন্ত্রণ করার জন্য দায়িত্ব ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত। শিল্পখাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতাঅর্জন ও বিকেন্দ্রিকরণেরউদ্দেশ্যে ২০৩০ সালেরমধ্যে সারাদেশে ১০০ অর্থনৈতিকঅঞ্চলপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য রয়েছেবাংলাদেশ সরকারের। বেজাএখনপর্যন্তসরকারি, বেসরকারি, পিপিপি, জিটুজিসহ ৬ ধরনের ৯৭টি অর্থনৈতিকঅঞ্চলেরঅনুমোদন দিয়েছেএবং ২৯টি অর্থনৈতিকঅঞ্চলবাস্তবায়নাধীনরয়েছে।