যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক চার লেন কাজ নিয়ে যাত্রী পথচারী দুশ্চিন্তায়
যশোর শহরের চাঁচড়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত মহাসড়ক ফোর লেনের কাজ চলতি অর্থবছরের শুরুতে হওয়ার কথা। এরই মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলছে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। বর্তমানে সড়কটির দুই লেন রয়েছে। সড়কের উভয় পাশে থাকবে সার্ভিস লেন। এজন্য শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণ। ৪৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। কিন্ত কাজের শুরু ও শেষ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে সড়ক ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি দ্রুত কাজ শেষ করা না গেলে যাত্রীদের তীব্র দূর্ভোগ পোহাতে হবে।
বিশেষ করে ব্যবসার কাজে নিয়মিত যারা এই মহা সড়ক ব্যবহার করেন এবং যারা নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করেন তারা বেজায় টেনশনে। কেননা সকলে ট্রেন শিডিউল মানতে না পারায় বাস, থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার মাইক্রো ব্যবহারকারীরা অগ্রিম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। কেননা আগে সড়ক সংস্কার কাজে দীর্ঘ দিন ধকল পোহানোর অভিজ্ঞতা কষ্টকর।
যশোরে প্রকল্পের অফিস নেয়াসহ নিযুক্ত হয়েছেন পরিচালক ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক। ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি (এন-৭) বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
প্রকল্পটির ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর ফেজ-১-এর আওতায় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটির (এন-৭) প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করেছি। এখন চলছে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। সড়কটি নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৩০৫ একর। এরই মধ্যে সরকারি জমিও নেয়া হবে। জমি অধিগ্রহণ করার কাজ চলমান।’
চাঁচড়া থেকে নতুন খয়েরতলামুখী বর্তমান সড়কের পূর্ব পাশ ধরেই সওজ অধিদপ্তরের জমি বেশি আছে। সওজ অধিদপ্তর যশোরের কাছ থেকে বর্তমান সড়কটি বুঝে নিয়ে কাজ শুরু হবে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সওজের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে সরকার প্রকল্প নিয়েছে। সঙ্গে থাকবে সার্ভিস লেন। আমাদের অংশের জমিও ওই প্রকল্পে দেয়া হবে। আশা করছি, চলকিত অর্থবছরেই প্রকল্পের কাজ ভালভাবে শুরু করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।
সওজ সূত্র জানিয়েছে, ফোর লেন প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বন্দর গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে বেনাপোল, ভোমরা স্থলবন্দর ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ এশিয়ান হাইওয়ে, সার্ক হাইওয়ে করিডোর, বিমসটেক রোড করিডোর ও সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) রোড করিডোরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ কাজ করা হবে।
ধীর গতিসম্পন্ন যানবাহনের জন্য পৃথক লেন এবং ব্যস্ততম স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ ও ‘স্মার্ট হাইওয়ে’ নির্মাণের জন্য অপটিক ফাইবার ক্যাবল (ওএফসি) এবং সড়ক ব্যবস্থাপনার জন্য ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমস (আইটিএস) স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এ উন্নয়ন প্রকল্পে।
উইকেয়ার ফেজ-১-এর আওতায় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক (এন-৭) উন্নয়ন প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে (সওজ) অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে।