বলরামপুরের তরিকুলের ধাপ্পাবাজ সিন্ডিকেটের ফাঁদে নিঃস্ব রূপদিয়ার শত শত মানুষ
বিশেষ প্রতিবেদক
এক চিন্নিত ঠগ জোচ্চোর ধাপ্পাবাজ ও তার দোসরদের নিয়ে বিপাকে রূপদিয়া ও তার আশে পাশের মানুষ। নানামুখি প্রতারণায় লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে সে ও তার দোসররা। যাশোর সদর উপজেলার এই এলাকায় বহুদিন ধরে এসব বাটপারি চলে আসলেও কেউ প্রতিবাদ করে না। বলরামপুরের তরিকুল (৫০) সিন্ডিকেট প্রধান হয়ে বিভিন্ন প্রকল্প ইস্যু করে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে আর্থিক প্রতারণা করছে। তার ফাঁদে পড়ে নিরীহ মানুষ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ। এসব অপরাধে তার দুই সহযোগী হচ্ছে বলরামপুরের ইজাহারের ছেলে জিয়াউর, চৌহাটির মৃত আবুলের ছেলে রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েক জন।
বহু মানুষের কাছ থেকে সাব মার্সিবল কূপ দেবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তরিকুল গঙ। কেউ এখনো কোন সাব মার্সিবল কূপ পায়নি বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা মাথাপিছু গ্রহন করেছে তরিকুল, জিয়াউর, রফিকুলরা। দু একটি বাড়ির ভিত শুরু হওয়ার পর কাজ পড়ে আছে। ভিতে বড়ো জোর ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
গ্রামবাসি জানায়, অপরাধী তরিকুল বলরামপুর নসিমন স্ট্যান্ডে তার বোনের বাড়ি বসবাস করে। তার দুলাভাই বদর অবশ্য কোন ঝামেলায় থাকে না।
বলরামপুরের নূর ইসলাম, মিঠু, সাহাবুর, গনি, গোপালপুরের কুদ্দুসসহ আরো অনেকেই তরিকুল গঙ কে টাকা দিয়ে এখন চরম বিপদে। তবে অনেকে টাকা দিয়েও ঝুট ঝামেলার ভয়ে চুপচাপ রয়েছে। শোনা যায় তরিকুলের দোসররা হুমকি দেওয়ায় এরা ভয়ে চুপ হয়ে আছেন।
স্থানীয় মেম্বর হজরত বিষয়টি জানলেও এখনো এই অপরাধী চক্র দমনে কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেননি।
চায়ের দোকানে বসে কয়েক জন জানান, টাউট তরিকুলের ভুয়া প্রকল্পের শেষ নেই। ওই চক্রের ফাঁদে পড়ে বহু মানুষ নিঃস হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তরিকুল ৫/৬ বছর আগে সদর উপজেলার ১৪নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের জিরাট থেকে এখানে আসে। এর পর থেকে চলছে তার একের পর এক ফোর টুয়েনটি ধাপ্পাবাজি অর্থ আয়ের হরেক প্রকল্প। এদের ভয়ে সাধারণ গ্রামবাসি মুখ খুলতে পারে না।
গ্রামবাসি তরিকুল ও তার দোসরদের অপরাধ দমনে জেলা পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন আর যাতে নতুন করে কেউ আর্থিক প্রতারণায় না পড়ে।