প্রক্টর রবিউলের কথায় তারা পদত্যাগ করেছে: চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৬ শিক্ষক পদত্যাগ করার বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার জানান, ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করায় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার নির্দেশে এ কাজটি করেন। ভিসি আরও জানান, তারা (পদত্যাগকারীরা) ৩ মাস আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন বিরোধী কথা বলছে। যারা পদত্যাগ করেছে তাদের সবাইকে রবি (প্রক্টর) নিয়োগ দিয়েছে।’
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি প্রশাসনিক পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করেছেন। ১৮ পদের মধ্যে একটি প্রক্টরের, পাঁচটি সহকারী প্রক্টরের, ১১টি বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও হাউজ টিউটর পদ ও একটি আইকিএসির অতিরিক্ত পরিচালক পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
ড. শিরীণ বলেন, পদত্যাগকারীরা এখন যা বলছে সব মিথ্যা। তাদের বিভিন্ন দাবি আমাকে জানায়নি। তাদের কিছু এজেন্ডা ছিল একে ওকে প্রোভাইডেড করবে। হয়তো তাদের উপরও চাপ ছিল বিভিন্ন জায়গার। আমি তাদের কথায় সায় দিতে পারিনি। তাদের দুই একজনের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু ছিল, সেগুলো এখন বলবো না। দুই একজনের ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া পাওয়াও ছিল। তাদের দাবি পূরণ না হওয়ার ক্ষেত্রে সিনিয়রদের প্রতি তাদের অবজ্ঞা এসেছে। এর প্রতিফলন তারা ‘দেখে নেবে’ বলেছিল।’
চবি উপাচার্য বলেন, ‘আমি জানতাম এমন কিছু ঘটতে পারে। আমি কোনো অনিয়ম করেনি। অনিয়মকে প্রশ্রয়ও দিইনি। ইনশাআল্লাহ প্রশাসনিক কাজে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে না। নতুন প্রক্টর নিয়োগ হয়েছে। প্রশাসন প্রশাসনের মতই চলবে। যারা পদত্যাগ করেছে তারা সবাই রবিউলের ঘনিষ্ঠজন। রবিউলের কথায় তারা পদত্যাগ করেছে।’
ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘পদত্যাগ করার কথা ছিল প্রক্টর রবিউল ও সহকারী প্রক্টর শহিদুলের। কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে একযোগে ১৬ জনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। মনে করছে, তারা পদত্যাগ করলে প্রশাসন চলবে না। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। নতুন প্রক্টর ও দুইজন সহকারী প্রক্টরও নিয়োগ হয়েছে। কাল থেকে আবাসিক হলের প্রভোস্টও নিয়োগ হয়ে যাবে।’
তবে বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ভিসি ম্যাডামের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আসলে চেয়ার ছেড়ে দিলে অনেকে অনেক কথাই বলে। মূলত শিক্ষক সমিতির ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের আগে শিক্ষকরা আমাদের কিছু যৌক্তিক দাবি জানিয়েছিল। নির্বাচনের পরে আমরা তা পূরণে কাজ করব বলে আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন তা করতে পারেনি তখনই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম।
পরবর্তীতে ২০২৩-২৪ কার্যনির্বাহীর নির্বাচনের সময় একই বিষয়গুলা নিয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলি। সেখান থেকেই মূলত দূরত্ব তৈরি হয়। যার প্রেক্ষিতে আমি পদত্যাগ করেছি। যারা পদত্যাগ করেছে তারাও তাদের বিবেকবোধ থেকেই পদত্যাগ করেছে।