এবার হলিউডের ‘বৈষম্য’ নিয়ে সরব প্রিয়াঙ্কা
দেশ ও ভাষার গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বর্তমানে হলিউডে চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি। সেখানে ‘কোয়ান্টিকো’ দিয়ে হাতেখড়ি। তারপর ‘বেওয়াচ’, ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশন্স’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
এবার মার্ভেল খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন দেশি গার্ল। কল্পবিজ্ঞান ও স্পাই থ্রিলারের মিশেলে তৈরি সিরিজ ‘সিটাডেল’। বহুভাষী এই সিরিজে মুখ্য চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। আগামী এপ্রিলেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে এই সিরিজ। ‘সিটাডেল’-এর হাত ধরে হলিউডের প্রথম সারির তারকাদের তালিকায় ঢুকে পড়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তবে এই টেবিলে জায়গা পেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে তাকে, জানালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। প্রথম দিকে হলিউডে এসে বৈষম্যের সম্মুখীনও হয়েছেন তিনি, এক অনুষ্ঠানে খোলাসা করেন তিনি।
হলিউডে পা রাখার আগে গোটা বিশ্বে ভারতীয় অভিনেত্রী বলেই পরিচিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ভারতীয় অভিনেত্রী বলে তিনি নাকি একটি বিশেষ অঞ্চলের দর্শকের কাছেই গ্রহণযোগ্য। হলিউডে এসে প্রথম দিকে নাকি এই ভাবনার শিকার হতে হয়েছে তাকে।
কীভাবে বদল এল সেই ধারণায়? প্রিয়াঙ্কা জানান, অনেক পরিশ্রম করে, একাধিক অডিশন দিয়ে প্রযোজক ও পরিচালকদের ভরসা অর্জন করেছেন তিনি। সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “স্ট্রিমিং অনেকটা এই আঞ্চলিক ধারণা বদলাতে সাহায্য করেছে। স্ট্রিমিং আসার পরে শিল্পের বিশ্বায়ন জরুরি হয়ে পড়েছিল। ‘ভারতীয় অভিনেত্রী বলে আমার দক্ষতা সীমাবদ্ধ’, স্ট্রিমিং আসার পরে এই চিন্তার বদল ঘটেছে।”
প্রিয়াঙ্কার মতে, তার সহশিল্পীরাও একইভাবে নিজেদের ‘কমফোর্ট জোন’ থেকে বেরিয়ে অনবরত বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন, যাতে গোটা বিশ্বের দর্শকের কাছে শিল্পী হিসেবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
স্ট্রিমিংয়ের যুগে বিশ্বায়নের সৌজন্যে নতুন মঞ্চ পেয়েছেন বহু শিল্পী। আঞ্চলিকতার সীমানা ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বের দর্শকের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তারা। তবে এই বিশ্বায়ন সবে শুরু, আগামী দিনে বিনোদনের জগতে আরও অন্তর্ভুক্তি দেখা যাবে বলে আশা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার।