যে দলের জন্ম পিছনের দরজা দিয়ে, তারাই বলছে গণতন্ত্রের কথা: ভূমিমন্ত্রী
জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
‘আমাকে যখন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন আমিও খুব অস্বস্থিতে ছিলাম। অনেক পরিশ্রমের পর ভূমি মন্ত্রণালয়কে ইমেজ সংকটের জায়গা থেকে বের করে এনেছি। ভূমি উন্নয়ন কর, জমির নামজরিসহ সকল প্রকার ভূমিসেবা এখন অনলাইনে পাওয়া সম্ভব। এক কথায় ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে বিএনপি জামায়াতের মুখেই গণতন্ত্রের কথা শুনছি। যে দলের জন্ম পিছনের দরজা দিয়ে, যাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে নিয়ে দেশ শাসন করেছিল আজ তারাই বলছে গণতন্ত্রের কথা। জানিনা তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা কতটুকু মানায়। আজ স্বাধীনতার প্রায় ৫২ বছর হতে চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী এবং আজ পর্যন্ত ব্যর্থতার পাশাপাশি আমাদের সফলতাও আছে। তবে জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের এই রূপ অনেক আগেই দেখার কথা ছিল।’
২৭ মে শনিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত ভূমি সেবা সপ্তাহের জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি খাজনা আদায়ের একটি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ থেকে ম্যানুয়ালি জমির খাজনা আদায় বন্ধ করে দিয়েছি। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাজনা আদায় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকা। ২০২১-২২ আর্থ বছরে প্রায় ৬ শত ৪৯ কোটি টাকা। খাজনা আদায় সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ার পর এক মাসে খাজনা আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শত কোটি টাকা। আমরা যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছি আশা করছি বছরে ২ হাজার কোটি টাকা খাজনা আদায় করবো।
এ সময় তিনি বিএনপির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের সর্বশেষ শাসন আমলে দেশকে লুটের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিল বিশ্বের কাছে। তাদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরপর দুই বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেছিলেন। আমি জানিনা এ বাংলার জনগণ কিভাবে উপকৃত হয়েছিল। তবে তারা বুঝতে পেরেছে এখন তাদের ক্ষমতায় আসা কঠিন হয়ে গেছে। কারণ দেশে আর একটা পদ্মা সেতু, টানেল কিংবা মেট্রোরেল তো হবে না। তারা জনগনকে কি বলবে?
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোঃ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল প্রমূখ বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. আবু রায়হান দোলন প্রমুখ।