সেলিম প্রধানের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা সেলিম প্রধানের সাজা কেন বাড়ানো হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে ৩ জুলাই জামিন চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন সেলিম প্রধান। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, সম্প্রতি সাজার বিরুদ্ধে সেলিম প্রধানের আপিল গ্রহণ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এখন আমরা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সেলিম প্রধানের জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। আগামী ৫ জুলাই চেম্বার আদালতে এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গত ৩০ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানকে ৮ বছর কারাদণ্ড ও ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ আদালত-৮-এর বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশানের বাসা, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন সেলিম প্রধান, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার জানান, অবৈধভাবে উপার্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন সেলিম, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।