চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘‘মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’’পালিত
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’’পালিত হয়ঃ-
21 ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ সূযোর্দয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান দপ্তর/ভবন, ওয়ার্কশপ, আবাসিক ভবন, বিদ্যালয় ও বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজ ও জলযান সমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা nq| সকাল ৮.০০ ঘটিকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ মিনারে চেয়ারম্যান, চবক মহোদয় কর্তৃক পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া চবক এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সকল স্কুল, কলেজ, ক্লাব, ইনস্টিটিউট, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বন্দর এলাকাস্থ সকল সংঘ/সমিতি এবং অত্র কর্তৃপক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদ মোঃ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রচনা ও সুন্দর হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় চেয়ারম্যান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আজকের দিবসটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মাতৃভাষার জন্য আত্বত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আমরাই একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি। তিনি সকল ভাষা শহীদদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, একমাত্র বাঙালি জাতি ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি। মাতৃভাষা আন্দোলনে তাঁদের আত্নত্যাগ বিশ্বের দরবারে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে যেটা আমাদের গর্বের বিষয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাতৃভাষার চর্চা করতে হবে এবং শিক্ষকদেরকে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষাকে বুকে ধারণ করতে হবে। মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে। মাতৃভূমিকে ভালোবাসতে হবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার সুরক্ষা দিয়েছে এবং এরই সূত্র ধরে ক্রমান্বয়ে দিয়েছে স্বাধীনতা। চেয়ারম্যান, চবক মহোদয় উপস্থিত সকলকে ২১ এর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান। পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন। চেয়ারম্যান মহোদয়ের বক্তব্যের পর চবক এর কলেজ, বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সমূহের ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে দিবসটির তাৎপর্য ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়।
বাদ যোহর চেয়ারম্যান, চবক মহোদয়, সদস্যগণ ও বিভাগীয় প্রধানগণ ৮নং সড়কস্থ বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন । এতে ভাষা শহীদের বিদেহী আত্নার মাগফিরাত এবং জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সংযুক্তিঃ ছবি ০১ (এক) কপি।