সারাদেশে ঈদুল ফিতরের প্রধান-প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি
ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান-প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরে বাসসের সংবাদদাতারা জানান-
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত: সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে এবারও এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের ৫টি জামাত: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান। তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী। চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন। সাভারে ঈদ জামাত: ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সাভারের সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস মাঠ ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাত: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাজানো হচ্ছে সব আয়োজন। মাঠে যেতে মুসল্লিদের জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ায় এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের গুলি ফুটিয়ে ঈদ জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দু’টি এবং পাঁচ মিনিট আগে একটি শটগানের গুলি ফোটানো হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিক্যাল টিম, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের জামাতে কেবল জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ছাতা, ব্যাগ, লাঠি কিংবা লাইটার জাতীয় কিছু নিয়ে মাঠে না আসায় ভালো। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই আমরা। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করবে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু করছে বিভিন্ন বাস কোম্পানি।
দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত: জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল-ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদ গুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। ঈদগাহে প্রবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ১৯টি তোরণ। অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসুল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশের অন্যতম বড় এই ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকবে। ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যােব সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটে শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত: শাহী ঈদগাহ ৭০০ বছরেরও পুরোনো ঐতিহ্যের এক প্রতীক। শাহী ঈদগাহের মুতাওয়াল্লি মো. শফিক বখত জানান, এবারের ঈদের একমাত্র জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আশেপাশের মসজিদে নামাজ হবে। শাহি ঈদগাহেও নামাজ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদে ৩টি জামাত: ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে হবে ঈদের নামাজ। এরমধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন।ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বাগেরহাট আলিয়া(কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম। ঈদে মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত: জেলায় ঈদুল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় পাচুড়িয়াস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ময়দানে।
এছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে, ৩য় জামাত সকাল ৯টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।
আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে সকাল ৮টায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানি, টুঙ্গিপাড়া,কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে প্রধান-প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় ঈদের জামাত: জেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা বাসসকে জানান- সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া বৈরী থাকলে ঈদগাহের পাশের জিমনেসিয়ামে একই সময়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জায়গা না হলে একাধিক বার জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। কুমিল্লা তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মৌলভীপাড়া ঈদগাহ, ভাটপাড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, ভাটপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, রেইসকোর্স নূর মসজিদ, মোগলটুলী শাহসুজা মসজিদ, শুভপুর শাহী ঈদগাহ ময়দান, অশোকতলা জামে মসজিদ, উত্তর আশরাফপুর (হালুয়াপাড়া) জামে মসজিদ, উত্তর চর্থা মিরসাঈদুর জামে মসজিদ, দক্ষিণ চর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ চর্থা কবরস্থান মসজিদ, টিক্কারচর কারবালা মাঠ, নূরপুর গুধীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ ঈদগাহ, দিশাবন্দ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, সদরগাজী জামে মসজিদ, পুরাতন পদুয়ার বাজার ঈদগাহ, কোটবাড়ি গন্ধমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এবং চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ঈদের জামাত হবে। দেখা গেছে, ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শতভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রয়েছে ৬টি গেট। সবগুলোকে সাজানো হয়ে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে রয়েছে দেয়াল। চার দেয়ালে এখন লাগানো হচ্ছে নতুন রঙ এবং আঁকা হচ্ছে ইসলামিক কারুকার্য। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগার ইমাম মুফতি মো. ইব্রাহীম ক্বাদেরী জানান, এবার ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। যদি মুসল্লি সংখ্যা বেশী হয়, তবে পরপর আর দু’টি জামাত করার প্রস্তুতি রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।
ফেনীতে প্রধান ঈদ জামাত: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ জানান, জেলার প্রধান ঈদ জামাত মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী জামে মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, পুলিশ লাইন্স মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, সার্কিট হাউজ মসজিদে ৮টায়, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে ৮টায়, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদে ৮টায়, শান্তি কোম্পানি মসজিদে ৮টায়, ফেনী রেল স্টেশন মসজিদে ৮টা ১৫ মিনিটে, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদে ৮টায়, উত্তর চাঁড়িপুর মুক্তারবাড়ি জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, বদরুন্নেছা জামে মসজিদে ৮টায়, জিএ একাডেমি হাই স্কুল মাঠে ৮টা ১৫ মিনিট, সহদেবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, লমী হাজারী জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, হাজারী পাড়া জামে মসজিদে ৮টা ৩০ মিনিটে, তাকিয়া বাড়ি মসজিদে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরায় ঈদের জামাত: পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুরে ঈদের জামাত: মেহেরপুরে ঈুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নগর উদ্যানে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৭টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির।
শেরপুরে ঈদের জামাত: জেলায় প্রধান ঈদ জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এস এম মোহাইমোনুল ইসলাম জানান, এবার জেলার বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত আদায়ের সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে মাও. হযরত আলীর পরিচালনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত আদায় সম্ভব না হলে জেলা কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, জামিয়া সিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায়, মাইসাহেবা মসজিদ মাঠে সকাল ১০টায়, চাপাতলি ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, বাটারাঘাট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯ টায়, চান্দেরনগর বড় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায়, পাকুড়িয়া পূর্বপাড়া মিন্নতিয়া হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ইদ্রিসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মহিলাদের জন্য আলাদা স্থানে সকাল ৯টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম কিবরিয়া লিটন বাসসকে বলেন, পৌরসভার আয়োজনে পৌর ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯ টায়। পৌর ঈদগাহ মাঠটি পরিষ্কারকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
নীলফামারীতে ঈদের জামাত: জেলায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইন্স ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী মডেল মসজিদ, নীলফামারী উপজেলা মডেল মসজিদ, গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ৯টায় সার্কিট হাউজ ঈদগাহ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে জোরদরগাহ ঈদগাহ মাঠ ও কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠে।