রাজনীতিশীর্ষ নিউজ

৩১ দফা কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : তারেক রহমান

 

ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগেই ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা’ কর্মসূচি সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আজ বিকেলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে খুলনা জেলা ও মহানগর এবং সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের জন্য আয়োজিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা দেন।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রদত্ত তাঁর এই বক্তব্য খুলনা জেলা ও মহানগর এবং সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নির্ধারিত স্থানগুলোতে একযোগে প্রচার করা হয়।

খুলনা প্রেসক্লাবে, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এবং বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ সময় তিন জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের কাছ থেকে ৩১ দফাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করেন। পরে তিনি দলের ভবিষ্যত পরিকল্পনার আলোকে সব প্রশ্নের উত্তর দেন।

কর্মশালায় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কেবল বিএনপির একার দফা নয়, এটি বিএনপির সঙ্গে যারা জোটবদ্ধ রয়েছে তাদের সকলের মতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে এই ৩১ দফা শুধু দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বস্তারের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির এই ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ৩১ দফায় দলীয় যে নির্দেশনা রয়েছে তা জেলা, উপজেলা ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়ে ছোট ছোট কর্মসূচি আকারে ছড়িয়ে দিতে হবে। আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের উদ্দেশ্য ও এর মাধ্যমে জনগণ কি ধরনের উপকৃত হবে তা জানাতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে। এতে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য। এমনকি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতেও ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে ১৭ বছর ধরে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেক পরিবারের নারীদের জন্য একটি কার্ড প্রদান করা হবে। এর মধ্যে যে অর্থ সরবরাহ করা হবে তা দিয়ে নারীরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খননে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, মানুষ যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে না থাকে সেই দলের কোনো সার্থকতা নেই। কোনো দল বা ব্যক্তি জনবিচ্ছিন্ন হলে তার পরিণতি ভালো হবে না।

জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখছে, তাই চাঁদাবাজ লুটতরাজকারীদের বিএনপিতে কোনক্রমেই ঠাঁই হবেনা।

বিএনপি জনপ্রিয় কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের সাথে থাকতে হবে এবং তাদের সঙ্গে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। যে কোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

কর্মশালায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কাজী আলাউদ্দীন ও ডা. শহিদুল আলমসহ প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকা থেকে আগত বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জাবিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার বানু, মাহবুবা হাবিবা, বজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button