চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ব্যারিস্টার এ আর ইউসুফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী, ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেডারেশনের (এনএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির বিশেষ উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এ আর ইউসুফের স্মরণসভা সোমবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ, বিচারক, আইনজীবী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থেকে তার কর্মময় জীবন ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।

সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার এবং বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ব্যারিস্টার এ আর ইউসুফ ছিলেন সততা ও নৈতিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার জীবন আমাদের জন্য শিক্ষণীয় এবং অনুসরণীয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, বিচারপতি এ. এফ. এম. আব্দুর রহমান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এবং বিএনপির সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট ফেরদাউস আক্তার ওয়াহিদা।

বক্তারা উল্লেখ করেন, ব্যারিস্টার এ আর ইউসুফ ১৯৯২ সালে অধ্যাপক গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে ইতিহাস গড়েছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেডারেশন (এনএসএফ) প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গভর্নর মোনায়েম খানের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে তিনি এনএসএফ থেকে বেরিয়ে আসেন।

মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বক্তারা বলেন, ‘মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে তিনি আইন পেশায় ফিরে আসেন। বেতন কম হওয়ায় মন্ত্রিত্ব ত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত তার নৈতিকতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।’

মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেতা যেমন ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, ভারতের রাজীব গান্ধী, পাকিস্তানের জিয়া-উল-হক, শ্রীলঙ্কার জে আর জয়াবর্ধনে এবং ভুটানের রাজা জিগমে সিংগে ওয়াং চুকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।

১৯৩২ সালের ১ জুলাই দিল্লিতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া ব্যারিস্টার এ আর ইউসুফ ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন।
স্মরণসভায় তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তার জীবনের আদর্শকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button